জাকসু নির্বাচনের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাকসু কার্যকর ও অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সকল ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান এই কর্মসূচি নেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়, ছাত্র রাজনীতির কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, জাকসু চাই জাকসু চাই দিতে হবে দিতে হবে। ডান বামের রাজনীতি, চাই না কারো উপস্থিতি। জেগেছে রে ছাত্র সমাজ জেগেছে, দলীয় ছাত্র রাজনীতির আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও।
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি চাই না। গণতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের রাজনীতি চর্চার জন্য অতি দ্রুত আমরা জাকসু চাই। প্রশাসনের যেকোনো ধরনের গড়িমসি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। কতদিনের মধ্যে জাকসু কার্যকর হবে এরকম একটা সিদ্ধান্ত আমাদের আজকে জানাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত পাব না ততক্ষণ আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
জিয়াউদ্দীন আয়ান বলেন, ‘জাকসু কার্যকরের দাবিতে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। ২৪ এর নয় দফা দাবি রেখে আমরা যে আন্দোলন করেছি তার এক দফা হচ্ছে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাবিতে কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থাকবে না। আমরা দেখেছি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কিভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে মাদকের আখড়া ও সন্ত্রাস গড়ে তুলেছি। তাই আমরা প্রশাসনকে জানাতে চাই আমরা কোনো গড়িমসি মেনে নেব না। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, সরকার আপনাকে চেয়ারে বসিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবা করার জন্য কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির আখড়া বানানোর জন্য নয়। তাই অতিদ্রুত শিক্ষার্থীদের রাজনীতি চর্চার জন্য জাকসু নির্বাচন দিয়ে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনীতি চর্চার সুযোগ করে দিন।’
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয়কে বলে দিতে চাই, আপনি যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন তাহলে আমরা দেখে নিব কিভাবে আপনি গদিতে বসে থাকেন। উপাচার্য আমাদের বলেছিলেন তোমরা যা চাইবে তাই হবে। তাই আমরা প্রায় সাড়ে পাচঁহাজার শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা দেখতেছি ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির আখড়া তৈরি হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করুন এবং জাকসু নির্বাচন দিন।’
(ঢাকা টাইমস/৩১অক্টোবর/এসএ)
মন্তব্য করুন