২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, দাতা সংস্থার ঋণ ও অনুদানে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে।
আইএমএফের বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদী দায় বিয়োগ করলে, নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আর এতেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।
(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/এমআর)

মন্তব্য করুন