ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে সুজন ফকির (৩০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাই শাওন ফকিরের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুজন ফকির উপজেলার জাজিসার গ্রামের ফকির বাড়ির খোকন ফকিরের ছেলে।

অভিযুক্ত শাওন ফকির নিহতের আপন চাচা লিটন ফকিরের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উপার্জনক্ষম ছেলের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

নিহতের বাবা খোকন ফকির জানান, তার ভাতিজা ঘাতক শাওন ফকির চিহ্নিত মাদক কারবারি। এলাকার সকল মাদক কারবারিদের সাথে তার দহরম-মহরম। বাড়ির সম্মান রক্ষায় প্রায় ছয় মাস আগে তাকে মাদক কারবারে বাধা দেয়া হয়। সেই বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আমি এবং আমার পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল শাওন। মাদক কারবারে জেরে তিনি জেলও খেটেছে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে আরও বেপরোয় হয়ে উঠে। তিনি মাদক ব্যবসার কারণে জেল খেটেছে কিন্তু অন্য মাদক কারবারিরা তাকে ধারণা দিয়েছিল আমরা তাকে ধরিয়ে দিয়েছি। প্রায় সময়ই তিনি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করতো। মনের জেদ মেটাতে প্রায় তিন মাস আগে সুজনকে গুম করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল। তিনি যাত্রায় সুজন বেঁচে গেলেও তার সাথে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় শাওন। এ নিয়ে কসবা থানায় মামলাও হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উঠানে ধান শুকাতে দেয়ার সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল আমাদের। আমার ছেলে সুজন জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তর্কে জড়ায় দুজন। সুজন উত্তেজিত হলে তার ভাই ও মা আমার ছেলেকে ঝাপটে ধরে। এসময় শাওন তার হাতে থাকা বড় একটি ছুরি দিয়ে সুজনের বুকে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুজন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে কুমিল্লায় স্থানান্তার করেন। অ্যাম্ব্যুলেন্সে করে কুমিল্লা নেয়ার পথে মারা যায় সুজন।

তিনি তার ছেলের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, ধান শুকনোকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে শাওন ফকিরের ছুরিকাঘাতে তারই আপন চাচাতো ভাই সুজন ফকির মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকা টাইমস/০১মে/এসএ)