লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে এবার নতুন কৌশলে সরকার

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি এবং পুলিশ লাইনস থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি৷
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হারানো হাতিয়ারগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটু উদ্যোগ নিয়েছি৷ আমরা একটি প্রাইজ ঘোষণা করেছি৷ হারানো অস্ত্র সন্ধান দিতে পারলে তাদের কত টাকা দেব এটা আমরা আলোচনা করে খুব দ্রুত মিডিয়াকে জানাবো৷ যে খবর দিতে পারবে সে পুরস্কার পাবে৷
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় তিনি বলেন, আমরা জাতি হিসেবে খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি৷ আমাদের এখন কোনো ধৈর্য নেই৷ আগে সমাজে কোনো খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়তো সেটা প্রতিহত করার জন্য৷ কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে৷ এখন সবাই ভিডিও করে৷ কোনো অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব৷ কিন্তু আমাদের সমাজে কেউ এটা প্রতিহত করছে না৷ সবসময় সব জায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না৷ গাজীপুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক৷ এ ধরনের ঘটনা ঘটুক সমাজে কেউ চিন্তাও করতে পারে না৷ কিন্তু ঘটনাটা ঘটে গেছে৷ এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বেশিরভাগকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি৷ কিন্তু যে জীবনটা চলে গেল সেই ক্ষতিপূরণ তো আর হবে না৷ সুতরাং আমরা যদি একটু ধৈর্যশীল হই তাহলে এগুলো একটু কমে৷
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অপরাধীরা যেন ভালোভাবে শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু জিনিসটা খুবই দুঃখজনক৷ এমন ঘটনা কিন্তু জনগণেরও প্রতিহত করার কথা৷
উপদেষ্টা বলেন, এই যে শেরপুরের ঘটনায় যে ভিডিও করছে তার নানিকে মেরে ফেলা হচ্ছে কিন্তু সে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে আয় করার জন্য৷ আমাদের সমাজের কত বড় অবক্ষয় এটা৷ ইউটিউবের জন্য সে ভিডিও করেই যাচ্ছে৷ তার নাতিটা যদি চিল্লাইতো তাহলেও তো কেউ সাহায্য করতো৷
১১শ অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো দেশি অস্ত্র। এই অস্ত্রগুলো যারা বানাচ্ছে তাদের একটু কেয়ারফুল হতে হবে৷ যারা বানাচ্ছে আমরা কিন্তু তাদেরও নিয়ে আসছি৷ যারা এসব অস্ত্র বানায় তারা কিন্তু জানে এগুলো কারা ব্যবহার করছে৷ আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন