চাঁদাবাজির রাজত্ব: ২০২৪ থেকে শিক্ষা নেই,বরং পুরনো নোংরা খেলাই এখন মহোৎসবে!

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রায়ই শুনি,“চাঁদাবাজদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই”,এ যেন ভদ্রভাবে বলা এক মিথ্যা। বাস্তবতার মাঠ কিন্তু অন্য কথা বলে! এ যাবতকালের প্রতিটি চাঁদাবাজি আর দখলদারির পেছনে স্পষ্ট দেখা গেছে রাজনৈতিক বলয়ের গোঁড়ামি আর ক্ষমতার ছত্রছায়া।মজার নয় বরং ভয়ঙ্কর,বাস্তবতা হলো, পাড়ার,গলি-মহল্লার ছোটখাটো চাঁদাবাজরা দলীয় শৃঙ্খলার খড়্গে পড়ে পদ-পদবি থেকে ছিটকে গেছেন। কিন্তু পর্দার আড়ালে থাকা সেই ভয়ংকর বড় খেলোয়াড় ভাইয়েরা,এখনো untouchabl বুক ফুলিয়ে হাঁটছেন, ক্ষমতার আসনে বসে নতুন শিকার খুঁজছেন।
২০২৪-এর political storm আর social flood পেরিয়েও কেউ শিক্ষা নেয়নি! বরং আবহমান কালের সেই পুরোনো ধাঁচের চাঁদাবাজির জঘন্য মহোৎসব এখন চলছে দেদারসে, নতুন মোড়কে,নতুন প্রহসনে!
কে ধরবে হাল? রাজনীতিবিদরা??যাদের হাতে এই মহামারীর জন্ম? ছাত্রসমাজ?যারা আজ বিভক্ত আর পথহারা? তথাকথিত সুশীল সমাজ??যারা drawing room থেকে মুখে বুলি ঝাড়েন, মাঠে আসেন না শুধু জাতিকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ বক্তব্য শুনান।সমাধান একটাই, প্রকৃতির নির্মম বিচার কারণ এই দেশের বিচার এখন মানুষের হাতে নয়,আল্লাহর হাতে!এই অপসংস্কৃতির শেষ হোক,নইলে পুরো জাতি একদিন চাঁদাবাজির জালে পচে মরবে।আমরা হয়তো থাকবো না কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে এবং আমাদের অভিশাপ দেবে। আমাদের নাম নেবে লজ্জার উদাহরণ হিসেবে। আর যদি আজও আমরা চুপ থাকি,ইতিহাস একদিন আমাদের কবরের উপর দাঁড়িয়ে বলবে,তোমরা ছিলে জাতির অভিশাপ!!
লেখক: অভিবাসন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক

মন্তব্য করুন