আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই: জামায়াত আমির

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪২
অ- অ+

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন, তার প্রমাণ কী আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে, আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজি করে না, দখলবাজিও করে না।’

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, ‘নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি।’

নারীদের পোশাক নিয়ে জামায়াতে আমির বলেন, ‘যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘অন্য ধর্মের নারীরা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি।’

জামায়াত আমির বলেণ, ‘আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয় এবং ভালোবাসে, তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরায় পরিণত হবে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাবো ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি-মাইনোরিটি নাম দিয়েছে, তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।’

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাবো।’

কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সড়কেও মানুষের ঢল নামে। এতে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।

(ঢাকাটাইমস/৪জানুয়ারি/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি হলেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা
শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরে নেতৃত্ব দিবেন: মোস্তফা জামান 
মিরপুরের শ্যামল পল্লী বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
শ্রীপুরে চায়না-৩ জাতের লিচুতে চাষির মুখে হাসি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা