রাজশাহীর স্পিন বিষে ১৫০ রানেই অলআউট খুলনা
সিলেটের রানপ্রসবা উইকেটে রাজশাহীর করা ১৭৮ রানকে ছোটই মনে হচ্ছিল সবার। তবে রাজশাহীর বোলাররা আজ দেখালেন নিজেদের বোলিং প্রতিভা। বিশেষ করে জিসান আলম, সোহাগ গাজী, বার্লদের স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হয়েছেন খুলনার ব্যাটাররা।
চার স্পিনার ১৩ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তাদের এমন বোলিংয়েই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিয়েছে বিজয়ের দল। খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী। এর আগে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা।
খুলনার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ নাইম ও উইলিয়াম বসিস্টো। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইলিয়াম বসিস্টোর বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে জিশান আলমের বলে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান উইলিয়াম বসিস্টো।
উইলিয়াম বসিস্টোর বিদায়ের পর জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাইম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। ৭ বলে মাত্র ১ রানে করে তাসকিনের শিকার হয়ে মিরাজ সাজঘরে ফিরে গেলে ২০ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
মিরাজের বিদায়ের পর জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাইম ও আফিফ হোসেন। এই জুটিতে ভর করে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে খুলনা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামিয়ে রাজশাহীকে স্বস্তি এনে দেন সোহাগ গাজী।
সোহাগ গাজীর শিকার হয়ে ২৮ বলে ২৪ রান করে মোহাম্মদ নাইম সাজঘরে ফিরে গেলে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি।মোহাম্মদ নাইমের বিদায়ে ৫৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা।
সোহাগ ফেরান ৩৩ রান করা আফিফ হোসেনকেও। মাহিদুল ইসলাম ১১ বলে করেন ১৮। এরপর ইমরুল কায়েসের ৬ বলে ১৭ রানের ছোটখাটো একটা ঝড়। মৃত্যুাঞ্জয়ের ওভারে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আবু হায়দার বার্লের ওভারে ক্যাচ দেন হারিসকে। নেওয়াজ ৫ বলে করেন ৯ রান। এরপর খুলনার টেলএন্ডাররা জয়ের কাছাকাছি যেতে পারেননি। যদিও নাসুম ১৫ বরে ১৮ রান করে চেষ্টা করেছিলেন। ৩ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
এর আগে রায়ান বার্ল ও ইয়াসির আলী রাব্বির ধীরতার পর আকবর আলীর ক্যামিওতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দুর্বার রাজশাহী। ২৯ বলে বার্ল ৪৮, ২৫ বলে ইয়াসির ৪১ ও ৯ বলে আকবর ২১ রান করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন