বিচারের পূর্বে আ.লীগ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না: রাশেদ

গণহত্যার বিচারের পূর্বে আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিল নিয়ে নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, পাঁচ মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও এখনো আওয়ামী হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারের সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা হওয়া মানে বিচারের নামে প্রহসন করা।‘
`আমাদের স্পষ্ট কথা শেখ হাসিনা ও কাদেরসহ ভারতে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এদের শাস্তি না হলে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। আর এই খুনি দলটি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। বিচারের পূর্বে তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।‘
রাশেদ আরও বলেন, `আমাদের দাবি আওয়ামী লীগসহ সকল লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সরকার বা হাইকোর্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে, তারা নির্বাচনে যেতে পারবে।‘
`মাদের কথা হলো, প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ দিলে, তার বিরুদ্ধেই আন্দোলন শুরু হবে। তাদেরকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে, সেটা আমাদের রক্তের উপর দিয়ে করতে হবে।‘
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাসান আল মামুন বলেন, ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের উপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা এসেছে ৪৩ তম বিসিএসে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের গেজেজভুক্ত করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে সর্বশেষ যে সকল এসআই প্রশিক্ষণার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে রাজনৈতিক কারণে বাদ না দিয়ে তাদের চাকরিতে পূর্ণবহাল করার আহ্বান জানাচ্ছি।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, গণহত্যায় জড়িত অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তার প্রতি আহবান আপনি না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ছাত্র জনতার জীবনের বিনিময়ে অনেকেই উপদেষ্টা হয়েছেন। অধিকাংশ উপদেষ্টারই গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কোন ভূমিকা ছিল না। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করলে, জনগণ কিন্তু আপনাদের পদে রাখবে না।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ বন্ধন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/জেবি)

মন্তব্য করুন