শেরপুরে ইভটিজিংয়ের জেরে যুবককে মারধর: দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করায় যুবককে মারধরের জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষের জেরে শনিবার বিকালেও সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় দেড় ঘণ্টা শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে বসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করে পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই ইভটিজিংকারী যুবককে মারধর করেন। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে কান্দাশেরীরচরের ফারুক মিয়া (৩১), মজনু মিয়া (২৬), আব্দুল আলিম (২৮)সহ অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন। এসময় কুসুমহাটি বাজারের রাস্তায় আগুন দিয়ে অবরোধ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও পলাশ টেলিকম নামে একটি মোবাইলের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুই পক্ষ কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুইপাশে অবস্থান নেওয়া শুরু করলে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিকালের দিকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় আবারও শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজন সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সেনাবাহিনীর শেরপুর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। একইসাথে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন