সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের পোস্ট
প্রধান বিচারপতির স্বজনদের সরকারি প্রটোকল নিয়ে প্রশ্ন

প্রধান বিচারপতির বোন ও আত্মীয়দের বিদেশ সফরে সরকারি প্রটোকল চাওয়ার একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে পেইজে ওই চিঠির একটি কপি শেয়ার করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি।
চিঠিটি ইস্যু করা হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সই করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. হাসানুজ্জামান। সেখানে বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে - বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডক্টর সৈয়দ রেফাত আহমেদের বোন মিসেস তাসনীম রায়না ফাতেহ'র সিঙ্গাপুর সফর প্রসঙ্গ। প্রধান বিচারপতির বোন ও আত্মীয়দের সিঙ্গাপুর সফরে সরকারি প্রটোকল দিতে অনুরোধ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
সেই চিঠির শেয়ার দিয়ে জুলকারনাইন সায়ের লিখেছেন, প্রধান বিচারপতির বোন ও তার কাজিন, কাজিনের স্বামী ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যাবেন ও ফেরত আসবেন। তাহাদিগকে দিতে হইবে সরকারি প্রটোকল! কেয়া বাৎ! কৌতুহলী মনের প্রশ্ন, প্রধান বিচারপতির বোন, কাজিন এবং কাজিনের স্বামীর জন্যে সরকারি প্রটোকল চাওয়া কতটুকু আইন সম্মত? Just curious.’
প্রধান বিচারপতির বোন, কাজিন ও কাজিনের স্বামীকে গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়া এবং ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের চিঠিতে বলা হয়েছে, 'নির্দেশিত হয়ে আমি আপনাকে জানাতে চাই, প্রধান বিচারপতির বোন মিসেস তাসনীম রায়না ফাতেহ, কাজিনের স্বামী এস্তোনিয়ার অনারারি কনসাল সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ এবং কাজিন ফাহমিদা আহমেদ ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সফর করবেন। তাদের ঢাকা ও সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে পরিবহন ব্যবস্থা, প্রটোকল এবং নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করতে হবে।’
ওই চিঠি শেয়ার করার পর সামির ফেসবুকে পোস্টে নানা মন্তব্য করেছেন ব্যবহারকারীরা। পোস্টে কমেন্টস পড়েছে দেড় হাজারের বেশি, আর শেয়ার করেছেন প্রায় নয়শ ব্যবহারকারী।
সেখানে লুৎফর নাহার লুমা লিখেছেন, ‘এভাবে সংস্কার চলছে।’ রবিউল ইসলাম নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘চেয়ারে বসলে সুবিধা নেওয়া শুরু হয়।’
মিল্লাত হোসাইন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাই, এটা একেবারেই সাধারণ একটা বিষয়। দূতাবাসের একজন কর্মচারী বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে ইমিগ্রেশন, লাগেজ ইত্যাদি বিষয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাগুলো সহজে ও দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করার অনুরোধ মাত্র। আদেশ নয়, খেয়াল করে দেখেন।’
(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন