‘দ্বিতীয় সারি’র নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার পাকিস্তানের

সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। হারের বৃত্ত ভেঙে কোনোভাবেই যেনো বের হতে পারছে না তারা। আইসিসির সবশেষ তিনটি বৈশ্বিক ইভেন্টেই গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেওয়ায় দলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগের সূচনা করতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও সরিয়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তাদের ছাড়া প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আইপিএলের কারণে নিউজিল্যান্ডের সিনিয়র ও তারকা ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই এই সিরিজ থেকে ছুটিতে। তাদের প্রায় দ্বিতীয় সারির দলের কাছেও টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার পর বোলিংয়েও পাত্তা পায়নি পাকিস্তান।
রবিবার (১৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সালমান আগার দল ১৮.৪ ওভারে গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯১ রানে। যা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন। নিউজিল্যান্ড এই রান তাড়া করেছে ৯ উইকেট আর ৫৯ বল হাতে রেখে।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই মূল কাজটা সেরে রেখেছিল কিউই বোলাররা। এরপর ছোট লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিকদের পক্ষে শুরুটা কিছুটা ধীরগতিতেই করেন ওপেনার টিম সেইফার্ট। তবে আউট হওয়ার আগে তিনি সেটি পুষিয়েও নিয়েছেন। সেইফার্ট ৪৪ রান করে আউট হলেও অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন ফিন অ্যালেন ও টিম রবিনসন। মাত্র ১০.১ ওভারেই ৯ উইকেটের বড় জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রানে ৩টি এবং ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সেই বিপর্যয় সামলাতে প্রয়োজন ছিল বড় জুটি এবং ঘুরে দাঁড়ানো কোনো ব্যক্তিগত ইনিংস। কিন্তু খুশদিল শাহ (৩২), সালমান আগা (১৮) ও জাহানদাদ খান (১৭) ছাড়া পাকিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। ফলে ১৮.৪ ওভারেই ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। যা কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় পুঁজি।
অবশ্য কিউই ফিল্ডাররা বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া না করলে সফরকারীদের সংগ্রহ আরও লজ্জার হতে পারত। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সালমান আগা-খুশদিল জুটি ৪৬ রানে তাদের সম্মান কিছুটা বাঁচিয়েছেন। সেই দুজনের ক্যাচই হাতছাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে নিয়ন্ত্রিত ও আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে পাকিস্তানকে খুব বেশি আগাতে দেননি জ্যাকব ডাফি ও কাইল জেমিসন। ডাফি সর্বোচ্চ ৪ এবং জেমিসন ৩ উইকেট শিকার করেছেন।
রান তাড়া করতে নেমে সেইফার্ট দেখেশুনে শুরু করেন। পরবর্তীতে আরেক ওপেনার অ্যালেনকে নিয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ৫৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের একমাত্র সান্ত্বনার উইকেট এনে দেন আবরার আহমেদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে সেইফার্ট ২৯ বলে ৪৪ রান করেন। ৩৯ রানের জুটি গড়ে এরপর জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেন-রবিনসন। অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ এবং রবিনসন করেন ১৮ রান।
(ঢাকাটাইমস/১৬ মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন