চুয়াডাঙ্গায় বলাৎকারের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় শিশু বলাৎকারের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম (২২) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের ঘুষিপাড়ার সেলিম মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, একই পাড়ার উজ্জল হোসেনের শিশু ছেলে (৯) নিয়মিত হাসাদহ ঘুষিপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিম ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের ধর্মীয় শিক্ষক নাজমুল ইসলামের কাছে আরবি শিখতো। ২০২৩ সালের ১৫ মে নাজমুল ওই শিশুকে বলে ১৬ তারিখ ভোরে আগে এসে ঝাড়–দিবে। তাহলে তোকে কোমল পানীয় সেভেন আপ খাওয়াবো। ভোরে মসজিদে গেলে কৌশলে ঘরের জানালা দরজা আটকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এরপর অন্যদের সাথে সে আরবি পড়ে। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শিশুর মা শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ মে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা রুজু করেন।
একই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই শাহ্ আলী মিয়া একজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্য ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একমাত্র আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।(ঢাকা টাইমস/২৭এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন