গাজায় হামাসের র্শীষ নেতা মোহাম্মদ সিনাওয়ারের মরদেহ পাওয়া গেছে, দাবি সৌদি সংবাদমাধ্যমের

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গাজা কমান্ডার ও সংগঠনটির সামরিক শাখা প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-হাদাত।
সংবাদমাধমটি বলছে, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় খান ইউনিসের একটি ইউরোপীয় হাসপাতালে বড় ধরনের হামলা চালায় ইসরায়েল। ধারণা করা হয়েছে সেই হামলায় নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ সিনওয়ার। মোহাম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে তার আরও ১০ সঙ্গীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক এখনো কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।
হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোটভাই ছিলেন মোহাম্মদ সিনওয়ার। গত বছরের অক্টোবরে রাফায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে প্রাণ হারান ইয়াহিয়া। তার মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের শীর্ষ নেতাতের একজন হয়ে উঠেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা ছাড়াও গাজার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বৈঠকে জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস মোহাম্মদ সিনওয়ার গত সপ্তাহে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু সবকিছু নির্দেশ দিচ্ছে তিনি নিহত হয়েছেন।”
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মোহাম্মদ সিনওয়ারকে তার ভাই ইয়াহিয়ার মতোই কট্টরপন্থি বলে বিবেচনা করে। কিন্তু মোহাম্মদ সামরিক দিক থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ ২০১৬ পর্যন্ত খান ইউনিস ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। তিনিও তার ভাই ইয়াহিয়ার মতো ইসরায়েলে চালানো ৭ অক্টোবর হামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী বলে বিশ্বাস ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর।
দীর্ঘদিন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ দেইফ। গত বছরের জুলাইয়ে দেইফ নিহত হওয়ার পর প্রথমে সামরিক শাখার দায়িত্ব পান মোহাম্মদ সিনওয়ার। এরপর তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর তিনি পুরো গাজার দায়িত্ব পান। গাজায় হামাসের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে তিনিও লুকিয়ে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শুভেচ্ছার নিদর্শনে হিসেবে হামাস মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক এডেন আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার একদিন পর মোহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্যস্থল করল ইসরায়েল। এই একজন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য যে চুক্তি হয়েছে তা ইসরায়েলকে পাশে ঠেলে দিয়েছে, কারণ হামাস ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দাবি, মোহাম্মদ সিনওয়ারের কারণে জিম্মিচুক্তি ও যুদ্ধবিরতি আটকে ছিল।
এদিকে আল-হাদাত পৃথক প্রতিবেদন আরও জানিয়েছে, শনিবার রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার আরেক ভাই জাকারিয়া সিনওয়ার এবং গত সপ্তাহের এক হামলায় হামাসের রাফা ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ শাবানাও প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এমআর)

মন্তব্য করুন