গাজীপুরে আ.লীগ নেতার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীদের আকুতি
গাজীপুরের টঙ্গীতে আওয়ামী লীগ নেতার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।
পরিবারটির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলি আফজাল খান দুলু। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন কেটে এবং পৌরসভার জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ১৪ বছর ধরে ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে পরিবারটি।
সোমবার দুপুরে টঙ্গী বাজার এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
অভিযুক্ত দুলু খান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের চাচাতো ভাই।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মনির হোসেন জুয়েল বলেন, তার বাবা শাহজাহান শিকদার ১৯৮৬ সালে ভরান এলাকার ফরিদ খাঁনের নিকট থেকে ৩ কাঠা জমি কিনেন। আর্থিক সংকটের কারণে ১৯৯৭ সালে ১ কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ছাড়াই ওই ১ কাঠা জমি নিজের ছোট ভাই ঝন্টু খানের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন দুলু খান। পরে বাকি ২ কাঠা জমিসহ বাড়িটি জবরদখলের উদ্দেশ্যে পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করতেন তিনি।
জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগ লীগের সভাপতি হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন দুলু খান। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় হত্যা, দিনে দুপুরে মানুষের চোখ উপড়ে ফেলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেন। এছাড়াও জমি দখল, বাড়ি নির্মাণে বাঁধা এবং ডেভেলোপারস ও হাউজিং নির্মাণ করতে হলে দুলু খাঁনকে মোটা অঙ্কের চাঁদা ও ফ্ল্যাট দিতে হয়।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলু খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেমে থাকেনি দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, দুলু খানের ছোট ভাই ঝন্টু খান গাড়ি চালক খলিল ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলি আফজাল খাঁন দুলুত অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকার এলাকার অন্যান্য ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।(ঢাকা টাইমস/২৫নভেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন