জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এদিন কার্যতালিকায় ছিল শেখ হাসিনার মামলা। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের মামলাও রয়েছে আজকের কার্যতালিকায়।
আরও পড়ুন>> গণহত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে
আরও পড়ুন>> পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব: প্রধান উপদেষ্টা
আরও পড়ুন>> ইন্টারপোলের রেড নোটিশে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা কতটা সম্ভব?
একই দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৩ আসামিকে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক তাদের গণহত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া আলাদাভাবে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তাদের গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে।
টানা ৩৬ দিনের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন ৫ শতাধিক। আহত হয়েছেন ২৩ হাজার ছাত্র-জনতা। তাদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এফএ)
মন্তব্য করুন