৫ মে শুরু সাতক্ষীরার আম সংগ্রহ, হিমসাগর-ল্যাংড়া আসবে ২০-২৭ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
  প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৬
অ- অ+

সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। এই জেলার আম ২০১৫ সাল থেকেই ইউরোপের বাজারে রপ্তানি হয়ে আসছে। সেই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং অপরিপক্ব আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে এবারও আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আম, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক জানান, অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজারজাতকরণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।

আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে তিনি জানান, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আম, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

এই বছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণগত মান রক্ষা করা এবং নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ব হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণমান কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুণ্ন হয়। ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

সভায় আরও জানানো হয়, এই মৌসুমে আম সংগ্রহ ও পরিবহনে নজরদারি করতে মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত, চেকপোস্ট ও বিশেষ মনিটরিং টিম কাজ করবে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে চালানো হবে প্রচার অভিযানও।

সাতক্ষীরার আম শুধু বাংলাদেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয়। জেলার আবহাওয়া ও মাটি এই অঞ্চলের আমকে করেছে সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফেসবুক লাইভে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার, নারী উদ্যোক্তা তনিকে আইনি নোটিশ
চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মারা সেই জামায়াত কর্মী আকাশ গ্রেপ্তার
এবি ব্যাংকের সঙ্গে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে চুক্তি 
খুলনা টাইগার্সের মালিক ইকবাল আল মাহমুদ গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা