‘সঠিক প্রস্তুতি’ ছিল না বাংলাদেশের
সফরের তিন সিরিজে ধবলধোলাই। প্রাপ্তির খাতায় হতাশা ছাড়া তেমন কিছু মিলছে না। সব ঘটন-অঘটনের পেছনে যদি কারণ থাকে, তবে এই হারের পেছনেও আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক উত্থান-পতন দেখা বর্ষীয়ান কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী মনে করছেন, কঠিন এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশের সঠিক প্রস্তুতি ছিল না।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। অনুশীলনের পাশাপাশি বিগ ব্যাশের শীর্ষ দুটি দলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে হাথুরুর ছেলেরা। জাতীয় দলের সাবেক কোচ জালাল চৌধুরী মনে করছেন, ‘গতিশীল শর্টবলে আমাদের দুর্বলতা ওরা টার্গেট করেছিল। আমরা সেটাকে কাউন্টার করতে পারিনি।’
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা গোটা সিরিজে ধুঁকেছেন। প্রথম টেস্টের তিনদিনই যা ছিল একটু ব্যতিক্রম। সাকিব ডাবল সেঞ্চুরি পান, মুশফিক করেন ১৫৯। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ‘তাসের ঘর’। ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্টে আরো বাজে অবস্থা। পেসারদের সামনে সবাই নাকানিচুবানি খান। চার পেসারের তোপেই ২৮৯ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে ১০৯ রানের লিড আসে।
‘কী আর বলবো। সঠিক প্রিপারেশন প্রমাণ করতে পারিনি। আমাদের পাঁচদিনের ফিটনেস নেই।’ হারের কারণ ব্যাখ্যা করে জালাল চৌধুরী বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে শর্টবলে আমাদের সঠিক প্রস্তুতি ছিল না। ম্যাচের আগে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাতে কী হবে। খেলার সময় অভ্যাস বশে ব্যাট চলে গেছে।’
এই সফরের দল নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। একাদশ সাজানো থেকে শুরু করে খেলোয়াড় বাছাই সম্পর্কে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। কিন্তু প্রবীণ এই কোচ মনে করছেন এই আলোচনাটা অবান্তর।
‘এটা আসলে অবান্তর বিষয়। টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো জানে, কাকে নিতে হবে। কে ভালো অবস্থায় আছে। কে তুলনামূলক দুর্বল।’
সৌম্যকে নিয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে তিনি বলেন ‘সৌম্যকে ধারাবাহিকভাবে খেলানো হয়েছে। সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু ওর ওপর দলের একটা বিশ্বাস ছিল। সে কিন্তু বিশ্বাসের সুবিচার করেছে।’
সফরটি নিয়ে সমর্থকরা হতাশ হলেও পোড় খাওয়া এই ক্রিকেটযোদ্ধা প্রাপ্তি খুঁজে পেয়েছেন ‘তরুণদের জন্য এই সফরটা খুব কাজে আসবে। এই কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয়, কোথায় দুর্বলতা ছেলেরা তা শিখেছে।’
‘শান্ত, মিরাজ, রাব্বি এমনকি তাসকিনকে বলবো এই অভিজ্ঞতা যেন তারা কাজে লাগায়। এতদিন এমন কন্ডিশন নিয়ে ওদের মৌখিক ধারণা ছিল। এখন হাতেকলমে শিক্ষা পেয়েছে।’ ফোনের ওপার থেকে জালাল চৌধুরীর কথা শুনতে শুনতে মনে হয় আশার ভেলায় ভাসছেন, ‘এসব ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ওদের এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এএম)