ফরিদপুরে আ.লীগের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ভাঙচুর আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:১৬ | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:১২

ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত আহত এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ও আটটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সালথা বাজার ও মদনদিয়া এলাকায় দফায় দফায় ওই সংঘর্ষ হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আমিনুল হক বলেন, সোমবার রাতে সালথা বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চোধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে রামকান্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ মোল্লার সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, বল্লম-রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ওসি জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ৫৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৮টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

সংঘর্ষে নিজের জড়িত না থাকার দাবি করেন সালথা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার জন্য সংসদ উপনেতার ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে আমি এলাকায় থাকি না।’

আলতাফের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাব্বির চৌধুরী বলেন, ‘সোমবার রাতে আমার কিছু লোকের সঙ্গে আলতাফ মোল্লার (বাবলু চৌধুরীর সমর্থক) লোকদের কথা-কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার সকালে সালথা বাজারে আলতাফের লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।’

অন্যদিকে আলতাফ মোল্লা দাবি করেন, ‘আগে থেকেই সাব্বির চৌধুরীর লোকজন আমাদের সঙ্গে মারামারি করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’

জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত লোকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :