‘মোরা’র প্রভাবে বাগেরহাটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, প্রস্তুত প্রশাসন

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০১৭, ২০:৩৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে বাগেরহাটে দমকা হাওয়া ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ খবরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্ট্রল রুম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে মংলা সমুদ্রবন্দরে অবস্থান করা ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্যোগ মোকাবেলা করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি সভা করেছে। তারা একটি কন্ট্রোলরুম খুলেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০টি কন্ট্রল রুম খোলা হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জরুরি সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডিসি বলেন, জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৭৫টি ইউনিয়নসহ ৮৩টি মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার ২৩৪টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের তৈরি রাখা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মংলা বন্দরে বর্তমানের সার, ক্লিংকার, যন্ত্রাংশসহ ১১টি জাহাজ অবস্থান করছে। ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় বন্দরে অবস্থান করা সব জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌবাহিনীর ১০টি এবং কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ আমাদের বন্দরে সরিয়ে আনা হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় বঙ্গোপসাগর থেকে আশ্রয় নেয়া পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারকে দুবলা, হিরনপয়েন্ট, কটকা, কচিখালীসহ বিভিন্ন এলাকার ছোট ছোট নদী ও খালে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন বিভাগের সব নৌযানকে নিরাপদে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :