‘গর্ভের সন্তান মেয়ে হওয়ায়’ গৃহবধূ খুন!
গর্ভের সন্তান মেয়ে হওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মোস্তফা আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম ইয়াসমিন আক্তার। দেবিদ্বার উপজেলার জিন্নতপুর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে ইয়াসমিন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় স্বামী, দেবর ও দুই ননদকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের বাবা কবির হোসেন জানান, এক বছর আগে ইয়াসমিনের সঙ্গে শিবপুর গ্রামের মোস্তফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ইয়াসমিনকে নির্যাতন করত তার স্বামী। ইয়াসমিন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে পরীক্ষার মাধ্যমে তার গর্ভে মেয়ে সন্তান বলে জানতে পারেন তার স্বামী। খবরটি জানার পর মোস্তফা স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর জের ধরেই রবিবার রাতে ইয়াসমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইয়াসমিনের বাবা। তবে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিহতের স্বামীর বাড়ির কারো বক্তব্য জানা যায়নি।
খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্বামী মোস্তফাকে আটক করে নিয়ে আসে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর