রাজধানীর এক সড়কের করুণ চিত্র

বৃষ্টি হলেই কাদা আর রোদ উঠলে ধুলা। এমনি নাজেহাল অবস্থায় দিন কাটছে রাজধানীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার জনসাধারণের। গাবতলী থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ সড়েকের এখন করুণ দশা। চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠার পাশাপাশি বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রায়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয় এপথে চলাচলকারীদের।
এরশাদ সরকারের আমলে রাজধানীকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরে এই বাঁধে নির্মাণ করা হয় সড়ক। রাজধানীর ভেতরে যানজট হয় বলে এই সড়ক ব্যবহার করে অনেকটা নির্বিঘ্নে পুরান ঢাকার সঙ্গে গাবতলী হয়ে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় সে উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।
ভাঙা সড়কটিতে বৃষ্টি হলে কথাই নেই। বিরাট আকারের গর্তগুলোতে পানি জমে থাকায় তা বোঝা যায় না। আর এসব গর্তে পড়ে ফেঁসে যাচ্ছে গাড়ি। চাকা গর্তে পরে গাড়ি কাত যাত্রী আহতের ঘটনা এ পথে নিয়মিত।
এ রাস্তার প্রধান যানবাহন অটোরিক্সা, লেগুনা ও মিনিবাস। বড় বড় গর্ত ছাড়াও আছে অসংখ্য ছোট ছোট গর্ত। এ কারণে হেলেদুলে চলে গাড়ি। ফলে, আতঙ্কে থাকে যাত্রীরা।
লেগুনা চালক মিঠু বলেন, ‘রইদউঠলে ধুলায় কিছু দেহি না, বৃষ্টি হইলে কাদা পানি। গাতায় (গর্ত) চাক্কা পরলেই গাড়ি কাইত হইয়া যায়। জানের মায়া তো আমগোও আছে। তাও প্যাটের দায় চালাই। কি করুম।’
গত এপ্রিল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। পথচারীদের হাঁটছে কাদা মাড়িয়ে। বেড়িবাঁধ স্লুইসগেটে বসবাসকারী গার্মেন্টস কর্মী সাবিনা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এ-ও আইয়া ছবি তুইলা নেয়। কামের কাম তো কিছুই হয় না। গাড়ি গেলেই গায় কাদা ছিডে।’
বেড়িবাঁধের গাবতলী অংশে বুড়িগঙ্গা নদীর পারে কংক্রিটের স্তুপ। এখান থেকে বিক্রি করা হয় নির্মাণসামগ্রীটি। রয়েছে কয়েকটি সিমেন্ট উৎপাদন কারখানাও। এই কংক্রিট বোঝাই ভাড়ী যানবাহন চলাচলের জন্যই সড়কটির এমন অবস্থা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সূত্র জানায়, বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে শুধুমাত্র ভাঙা অংশগুলো সামান্য মেরামত করা হয়। কয়েকদিন পর আবারো পুরোনো অবস্থা।
এ বিষয়ে জানতে চাইল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকাটামসকে বলেনম, ‘বেড়িবাঁধের স্থায়ী সংস্কারের জন্য প্রথমে এটিকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। যে কার্জক্রম আমারা ৬ জুলাই থেকে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।’
ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/কারই/কেএস/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন