ছাত্রলীগের দুই বছরের সাফল্য

নাজমুল হক
| আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৭, ২০:৩০ | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০১৭, ২০:১০

শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগের যাত্রা শুরু।

বাঙালি জাতির বিনির্মাণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ যে আত্মত্যাগ করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৫-২৬ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে সোহাগ-জাকির প্যানেল নির্বাচিত হয়। এই কমিটির দুই বছরে রয়েছে নানান অর্জন।

১. শিক্ষা ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন দফা।

৩. জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ।

৪. বন্যার্ত ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছিল ছাত্রলীগ।

৫. পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপন।

৬. স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল টিম প্রেরণ।

৭. নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করা।

৮. সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বছরের শুরুতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।

৯. শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ।

১০. ইতোমধ্যে প্রায় ৪২টি ইউনিটে সম্মেলন সম্পন্ন করা।

১১. পূর্বের আংশিক কমিটির প্রায় ১০৩টি ইউনিট পূর্ণাঙ্গ করা।

১২. দেশের বাইরে ২১টি দেশের কমিটি গঠন।

১৩. শৃঙ্খলা ভঙ্গে দুই বছরে বহিষ্কার ৩০৬।

যা বর্তমান কমিটির উল্লেখযোগ্য অবদান।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এমন বেশ কয়েকজনের মূল্যায়ন হলো- সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছে এবং অনেকটা সফল। ছাত্রলীগের একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান ছাত্রলীগের সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে করেন। ছাত্রলীগ এখন সাংগঠনিক কাজের পাশে সমাজ বিনির্মাণেও ভূমিকা রাখছে। বন্যা, দুর্যোগে সবার আগে ছাত্রলীগ ছুটে যায়, ছাত্রলীগ এখন অসহায়ের সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটে সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় রাজশাহী বিভাগের ৫০টি উপজেলা, রংপুর বিভাগের ৩৫টি উপজেলা, খুলনা বিভাগের ৪৫টি উপজেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৫টি উপজেলা, ঢাকা বিভাগের ৬৩টি উপজেলা, সিলেট বিভাগের ৪৪টি উপজেলা এবং বরিশাল বিভাগের ১৫টি উপজেলায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা এবং জেলা শাখার মর্যাদাসম্পন্ন প্রায় অর্ধশত ইউনিটে দেয়া হয়েছে নতুন কমিটি। আরও বেশ কয়েকটি ইউনিট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্রলীগ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে কুড়িগ্রামে প্রায় ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণ করে। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা, মহানগর, উপজেলায় প্রায় পাঁচ লাখ বৃক্ষরোপণ করেছে সংগঠনটি।

ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ আগামী নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।

লেখক: সহসভাপতি, ছাত্রলীগ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :