শ্রীপুরে ধর্ষণে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মাতবরদের আপোষ-মীমাংসার আশ্বাসে এখনো থানায় অভিযোগ করতে পারেনি কিশোরীর পরিবার।
অভিযুক্ত যুবক আমান উল্লাহ (২৬) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। মুলাইদ গ্রামের নাভিদ সোয়েটার কারখানার শ্রমিক আমান উল্লাহ বিবাহিত জীবনে এক সন্তানের বাবা। কিশোরী ও আমানউল্লাহ দূরসম্পর্কের মামা-ভাগিনী।
কিশোরীর স্বজনেরা জানায়, সে স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় তার মায়ের খালাতো ভাইয়ের ছেলে আমান উল্লাহ নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে গত চার মাসে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
গত দুই মাস ধরে কিশোরীটি মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক অববয়ের পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ ঘটনার পর মেয়ের রিকশাচালক শ্রবণপ্রতিবন্ধী বাবা বিষয়টি স্থানীয় মাতবরদের জানালে তারা থানায় অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে ঘটনা মীমাংসার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে তেলিহাটি ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেয়েটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য তাদের থানায় যেতে বারণ করা হয়েছে। আমরা সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি, যাতে মেয়েটির পরিবার সুবিচার পায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আমান উল্লাহর মা জানান, আমান উল্লাহ কয়েক দিন ধরে বাড়ি আসছে না। তবে এ বিষয়টি তারা শুনেছেন এবং আমান উল্লাহ বিষয়টি তাদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার কোনো সুযোগ নেই।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/মোআ)