‘নারায়ণগঞ্জে আগামীতে করদাতার সংখ্যা হবে ৫০ হাজার’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:২০

বিকেএমইএর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান প্রত্যাশা ব্যক্ত বলেছেন, আগামী বছর নারায়ণগঞ্জে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা হবে ৫০ হাজার। তিনি বলেন, আয়কর বিভাগের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে আগামী বছর আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা যাতে নারায়ণগঞ্জে ৫০ হাজারে উন্নীত হয়। তবে এজন্য আপনাদের আরও বেশি সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শুধু বছরে একবার মেলা করেই এটা সম্ভব নয়।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন সেলিম ওসমান। ওই সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় এমপি সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। যার মধ্যে ২৮ হাজার মানুষ তাদের আয়কর প্রদান করেন। গত বছর এই সংখ্যা আরও কম ছিল। চলতি বছরে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মানে হচ্ছে ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স দিতে আগ্রহী।

তিনি কর অঞ্চলকে বলেন, প্রায় ৪২ ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের মাধ্যমে প্রতি মাসেই ব্যবসায়ীদের সাথে সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে বিকেএমইএ এর সহযোগিতা নিতে পারবেন। আপনারা বিকেএমইএ কাছে সহযোগিতা চাইলে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় গিয়ে আয়কর প্রদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বলেন, যে জনগণের করের টাকায় সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় সেই জনগণের সেবা করাই সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, গাড়ি চালাতে যেমন তেলের প্রয়োজন তেমনি দেশ পরিচালনার জন্য করের প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, করদাতাদের উৎসাহিত ও নতুন করদাতাকে করের আওতায় আনার জন্য ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে নারায়ণঞ্জের কর অঞ্চলের আয়োজিত চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা ২০১৭।

এবছর আয়কর মেলায় আয়কর আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন কোটি টাকা। মেলায় বসেছে ২৪টি স্টল যাতে রয়েছে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা, রিটার্ন দাখিল করা, ই-পেমেন্ট কর পরিশোধ, ভ্যাট সংক্রান্ত পরামর্শ, সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত ইত্যাদি। এছাড়া বয়স্ক নাগরিক, প্রতিবন্ধী ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। কর পরিশোধের জন্য মেলায় রয়েছে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথ।

নারায়ণগঞ্জের কর কমিশনার মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, বিকেএমইএ’র পরিচালক মঞ্জুরুল হক, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন সাজনুসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সংগঠনে নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এছাড়া অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম কর কমিশনার এসএম আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশের ন্যায় এবছরও নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের উদ্যোগে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় কর মেলা চলবে। এছাড়া ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলার শিল্প কলা একাডেমীতে, ৬ নভেম্বর সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় এবং ৭ নভেম্বর টঙ্গীবাড়ী ও শ্রীনগর উপজেলায় আয়কর মেলা শুরু হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। এছাড়া শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস বন্ধের দিন করদাতাদের সেবা প্রদাণকরার জন্য আরো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে করদর্পণ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :