হিন্দুবাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নাসিরনগরে আ.লীগ-বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৫ | প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:১৭

ফেসবুকে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান কাবা শরিফের অবমাননা করে ছবি পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া আট মামলার একটিতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) তৈরি করেছে পুলিশ। এসব মামলায় স্থানীয় একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

আগামীকাল রবিবার ২২৮ জনকে আসামি করে তৈরি ওই অভিযোগপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে দাখিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নাসিরনগর থানার একাধিক সূত্র।

২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি মামলা করেন।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, মামলার অভিযোগপত্রে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, একাধিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম; হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হোসেন চকদার। সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও আব্দুল হান্নান ছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবাই এখন জামিনে রয়েছেন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, গত বছরের ৩০ অক্টোবর গৌর মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) তৈরি হয়েছে। এ মামলার বাদী নির্মল চৌধুরী।

হরিণবেড় ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের রসরাজ দাস নামের এক যুবক নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরিফের ওপর শিবমূর্তি স্থাপন করে ছবি পোস্ট দেয়। এই অভিযোগ তুলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়। পরে আরো কয়েক দফা একাধিক বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা আটটি মামলা করে নাসিরনগর থানায়। এসব মামলায় প্রায় তিন হাজার লোককে আসামি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :