পুলিশের হাতকড়া পরা অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০০ | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৫১

পুলিশের হাতকড়া পরা অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক চা-বিক্রেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামে রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এই ঘটনায় মামলা করেছেন অপমৃত্যুর।

নিহতের নাম আজম খান। এই ঘটনায় তার পরিবার সদর থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম। এই অবস্থায় আলাদতে মামলার আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জমি-জমা নিয়ে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের চা-বিক্রেতা আজম খান ও তার প্রতিপক্ষ আলতাফ বেপারীর সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের দুটি মামলা আদালতে চলছে।

রবিবার দুপুরে আজম খানের একটি গাছ কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় আজম খান ও তার চাচা মজিবর খানকে হাতকড়া পরিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। কিছুদূর আগানোর পর প্রতিপক্ষ আজম খানের উপর হামলা করে। এতে আজম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখনও হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিলেন আজম।

পরে রাত আটটার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক আজম খানকে মৃত ঘোষণা কনের। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়।

আজম খানের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আদিত্যপুর বাজারে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আজম খানের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে হাতকড়া পরা অবস্থায় আমার স্বামীর উপর হামলা করে হত্যা করা হয়েছে। আমি সদর থানার ওই পুলিশদের বিচার চাই।’

মাদারীপুর উন্নয়ন-সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যে পুলিশ আমাদের রক্ষা করবে, অথচ সেই পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে থেকেও আসামিকে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হতে হবে- এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ওই পুলিশসহ দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’

অভিযোগের ব্যাপারে সদর থানার ওই সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিলকে একাধিকবার থানায় গিয়েও পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে এএসআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাকে আপাতত ক্লোজড করা হয়েছে। যদি ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কেউ দোষী হয় অথচ নিহতের পরিবার থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাহলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :