আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত’ নিহত
সাভারে আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য রুবেল নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ডিবি পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ তিন সদস্য। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র।
আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়িতে শুক্রবার ভোররাতে ওই ডাকাত সদস্যকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা যান। নিহত রুবেল (২৫) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার লক্ষিণদার গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। এসময় ডাকাতরা বাসের চালক শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে বাসটি আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকায় ফেলে যায় ডাকাতরা। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে বাসের ভিতর থেকে নিহত চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় বাসের হেলপার বাদশা মিয়া ও সুপারভাইজর শহিদুল খানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন।
পুলিশ আরও জানায়, এঘটনায় ২৩ দিন পর গতরাত (বৃহস্পতিবার) সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকা থেকে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার ভোররাতে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রুবেলকেসহ টংগাবাড়ি এলাকায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ। এসময় আগে থেকে উঁৎ পেতে থাকা ডাকাতদলের অপর সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের হেফাজতে থাকা রুবেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র। এঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ, এএসআই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল নয়ন আহমেদ আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় রুবেল জড়িত ছিলেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌসি আক্তার বলেন, নিহত ব্যক্তির বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/আইআই/জেবি)