সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: প্রতিশ্রুতি দিয়েও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ
গত ২০ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো অর্থ না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। সেই সঙ্গে এর সুষ্ঠু বিচার ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানায় পরিবারটি।
সোমবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নিহতের স্ত্রী রাবিনা ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে রাবিনা ইসলাম বলেন, “গত ১৯ মার্চ রাত দেড়টায় আমার স্বামী ও তার বন্ধু ৩০০ ফিট রোডের শেখ হাসিনা চত্বরে দুর্ঘটনার শিকার হন। আসামি আতিকুর রহমান বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেট কার চালিয়ে (ঢাকা মেট্রো গ-৩২-৭১২৬) এসে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেন। ধাক্কা দেওয়ার পর আমার স্বামী ও বন্ধু গুরুতর আহত হলেও আতিকুর রহমান তাদের কোনো প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সেখান থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এর পরের দিন ২০ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্বামী মারা যান। এরপর অভিযুক্ত আতিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।”
তিনি বলেন, “আমার স্বামী ছিলেন আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার বিধবা শাশুড়ি ও দেবর-ননদ রয়েছেন, যারা আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় আমরা গোটা পরিবারের সদস্য আমার স্বামীর অবর্তমানে এক প্রকার অসহায় ও দিশেহারা জীবনযাপন করছি। অভিযুক্ত আসামি আরাফ আতিক একজন প্রভাবশালী লোকের সন্তান হওয়ায় গাড়ি চালানোর বৈধ লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও তারা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার অসহায়ত্বের কথা আসামির অভিভাবকদের কাছে জানালে তারা হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ ও মৃত্যুর পর দাফন কাফন করার খরচ বহনের কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আমার স্বামীর দাফন হয়ে যাওয়ার পরেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো অর্থ না দিয়ে উলটো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার ও প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।”
(ঢাকাটাইমস/০৬মে/এমআই/এফএ)