মিয়ানমার থেকে দুই দিনে বিজিপির ১২৮ সদস্য বাংলাদেশে
দুদিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১২৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (৫ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে। তাদের নিরস্ত্রীকরণের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার আরও ৪০ জন সদস্য একইভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। দুই দিনে এ সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৮ জনে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সীমান্তের সূত্রে জানা গেছে, রাখাইনের মংডু শহরের অদূরে বিজিপির একটি বড় ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি। সেখানে সংঘাতের জেরে রোববার সকালে টেকনাফের নাফ নদীর দুটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৮৮ জন বিজিপির সদস্য সাবরাং ইউনিয়নের আচারবুনিয়া ও নাজিরপাড়া পয়েন্ট দিয়ে কাঠের বোটে করে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিকেলে বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে তাদের রাখা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির ৪০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এ ছাড়া ইতোমধ্যে কয়েক দফায় পালিয়ে আসা সেনা, বিজিপি ও ইমিগ্রেশন শাখার ৬১৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার ইনানী জেটিঘাট দিয়ে ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৫মে/কেএম)