বিমান দুর্ঘটনায় ছেলে হারিয়ে অন্ধকার দেখছেন মা-বাবা

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৭:৩৫

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ফরিদপুরের এসএম মাহমুদুর রহমান ওরফে রিমন (৩০)। তিনি নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন মা ও বাবা। লস্করদিয়া গ্রামের এসএম মসিউর রহমান ও লিলি বেগমের ছেলে মাহমুদুর। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন। মাহমুদুর ঢাকায় রানার গ্রুপে হেড অব সার্ভিস পদে কাজ করতেন। তার পোস্টিং ছিল তেজগাঁওয়ের অটোমোবাইল কার্যালয়ে।

সোমবারের দুর্ঘটনার খবর জানিয়ে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে জানানো হয়েছিল- দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে মাহমুদুর। চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরে কর্মরত রানার গ্রুপের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলের এ মৃত্যুর খবর জানান বাবা ও মাকে।

লিলি বেগম জানান, গত রবিবার দুপুরে ছেলের সাথে তার কথা হয় মুঠোফোনে। সেটাই শেষ কথা। ছেলে যে নেপাল যাবে বা যাচ্ছেন এ কথাও জানতেন না লিলি বেগম।

দুর্ঘটনার পর মাহমুদুরের স্ত্রী সানজিদা প্রথম ফোনে লিলি বেগমকে জানান, দুর্ঘটনার খবর। তবে মাহমুদুর যে আর বেঁচে নেই- এই কথা জানাননি।

১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মাণাধীন একটি পাকা বাড়িতে বসবাস করছেন মাহমুদুরের মা, বাবা ও ছোট ভাই এসএম মোকলেসুর রহমান।

মাহমুদুরের চাচা শাহ্ মো. আফতাবউদ্দিন জানান, বাবা ও মায়ের খরচের জন্য প্রতিমাসে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা পাঠাতেন মাহমুদুর। এ টাকা ছাড়া অসহায় এই পরিবারটির চলার আর কোন অবলম্বন নেই।

তিনি আরো জানান, সে ছিল পরিবারের একমাত্র ব্যক্তি। তার উপার্জনে চলত সংসার। এখন এই পরিবারে উপার্জনের কেউ থাকল না।

রিমনের আরেক চাচা এসএম জালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর আহত রিমনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়।

নগরকান্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, এ ব্যাপারে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে নিহতের পরিবারকে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :