দুই বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন মির্জাপুরের ইউএনও
একের পর এক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে চলেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ইউএনও ইসরাত সাদমীন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার দুই দিনে উপজেলা সদরের সরিষাদাইড় ও জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় বন্ধ করলেন দুই বাল্যবিয়ে।
জানা গেছে, সরিষাদাইড় গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও ইসরাত সাদমীন মেয়েটির বাবাকে তার কার্যালয়ে ডেকে বাল্যবিয়ের কুফল বুঝিয়ে বলেন। পরে বিবাহ বন্ধের বিষয়ে মেয়েটির বাবা মুচলেকা দেন।
এছাড়া বুধবার দুপুরে পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকার ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। ইউপি সদস্য বাবুল পালের মাধ্যমে প্রথমে চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী ও পরে ইউএনও ইসরাত সাদমীন বিষয়টি জানতে পারেন। পরে চেয়ারম্যান মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে জানান। পরে ওই মেয়েটির বিবাহও বন্ধ হয়।
আলী এজাজ খান জানান, মেয়েটি গুনটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) পাস করে স্থানীয় সাটিয়াচড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হয়। পিইসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়নি। পরে ইউএনওর সহযোগিতায় বিয়েটি বন্ধ করা হয়।
ইউএনও ইসরাত সাদমীন বলেন, দুই দিনে দুই বাল্যবিয়ে বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা বাল্যবিয়ে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে মায়ের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়াসহ দুর্বল ও রোগ্ন শিশুর জন্ম হয়। দুর্বল ও রোগ্ন শিশু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নাগরিক হলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)