যৌন হেনস্তার দায় অস্বীকার করলেন জনসন

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান রক অ্যান্ড ব্লুজ তারকা কেলি আর জনসন। সম্প্রতি এক প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে তার বিরুদ্ধে করা যৌন হেনস্তার দায় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। অভিযোগগুলো সমর্থন করার কোনো প্রমাণ নেই, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ যা ভুলে পরিপূর্ণ।’

টানা দুই দশক একের পর এক হিট অ্যালবামের জন্ম দিয়েছেন আর কেলি। কিন্তু ভক্তদের জন্য যৌন নিগ্রহের দুঃসংবাদগুলো খুব অপ্রত্যাশিত ছিল। একের পর এক যৌন নিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়েছেন নিজের নাম। এমনকি বর্তমানে পশ্চিমে যখন নারী নির্যাতনবিরোধী সামাজিক গণমাধ্যমের আন্দোলন ‘মি টু’ চরম সফলতার সঙ্গে বিখ্যাত সব সেলিব্রেটিকে কুপোকাত করছে তখনো নিঃস্পৃহ থেকেছেন কেলি জনসন। বরং এই সময়েই ১৩ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে চরম অবমাননাকর পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তৈরি করেছেন তিনি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ২০০৮ সালে এই শিশু পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে বেকসুর খালাস দেন। যদিও সেসময় আদালতে প্রমাণ হিসেবে ভিডিওটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। এর আগে ২০০০ সাল থেকেই বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং নিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ পেতে থাকে। কিন্তু নির্বিকার কেলি জনসন অনুশোচনা প্রকাশ করা দূরে থাক, বরং নিজ জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক পাবলিক কনসার্ট আর টিভি শো’ তে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু এবার কেলিকে ন্যায় বিচারের সম্মুখীন করতে সোচ্চার হয়েছেন ‘মি টু’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং একে সমর্থন দেওয়া অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা। #মিটু আরকেলি নামের এই প্রচারণার আদলে তারা এবার সংগীত ব্যবসায়ী রেকর্ড কো¤পানি এবং কনসার্টের আয়োজকদের কেলিকে বর্জনের আহ্বান

জানিয়েছেন। মিটু মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা তারানা বার্ক, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জন লিজেন্ড, পরিচালক আভা ডু ভার্নিসহ আরও অসংখ্য ‘মি টু’ অনুরাগী ও সমর্থক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে তারা বাণিজ্যিক রেকর্ড কো¤পানি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কেলি আর জনসনের বিরুদ্ধে যে জনমত গড়ে তুলছেন তা শেষ পর্যন্ত তাকে কঠিন আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করতে পারে। আর তেমনটি হলে আমেরিকান ড্যাডখ্যাত এই তারকাকে কড়া দাম দিতে হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :