‘বিয়ে অস্বীকার’: সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:৫১

বিয়ে অস্বীকার করার অভিযোগে ‘স্ত্রী’র হাতে পিটুনি খাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ‘স্ত্রী’ পিটুনি খাওয়ার পর বুধবার তাকে গণপিটুনিও খেতে হয় তাকে। পরে তাকে রুহিয়া থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম দবিয়ার রহমান। তিনি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক বা এএসআই হিসেবে কর্মরত।

অভিযোগকারী নারী মাসুদা বেগম জানান, দবিয়ার রহমানের স্ত্রী থাকলেও তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান তিনি। গত ৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তাকে বিয়ে করেন। পরে রাণীশংকৈলে ফিরে তাকে রামরায় দীঘির পাশে একটি ভাড়া বাসায় তুলেন। সম্প্রতি তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর দবিয়ার ওই সন্তান নষ্ট করে দেন।

এই পর্যায়ে দবিয়ারকে তার কোয়ার্টারে তুলতে চাপ দিতে থাকেন মাসুদা বেগম। কিন্তু দবিয়ার তাকে অস্বীকার করেন। পরে মাসুদা বেগম গত ২৭ নভেম্বর জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর তদন্ত চলাকালে দবিয়ার যেন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সে জন্য মঙ্গলবার তাকে রুহিয়া থানায় বদলি করা হয়।

বদলির খবর জানতে পেরে মাসুদা বেগম বুধবার সকালে রুহিয়ায় এসে দবিয়ার রহমানকে ডেকে নেন। এক নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে কথাবার্তার এক পর্যায়ে দবিয়ারের ওপর চড়াও হন মাসুদা। তিনি তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। দবিয়ারও এরপর পাল্টা আঘাত করেন মাসুদাকে।

পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দবিয়ারকে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা থেকে আসা একদল পুলিশ দবিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মাসুদা বেগমকে উপস্থিত লোকজন ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে পুলিশ সুপারের ফরহাত আহম্মদের নির্দেশে দবিয়ার রহমানকে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার জানান, এএসআই দবিয়ার রহমান আগে থেকেই বিবাহিত। তার সন্তানও আছে। তাদের কাছে তিনি মাসুদা বেগমকে বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :