মানিকগঞ্জে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে যৌনহয়রানির অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২১ মে ২০১৭, ২২:৫০
অ- অ+
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দরগ্রাম সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ওই ছাত্রীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় কালু শাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রসায়ন বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের ভেতর ছাত্রলীগ নেতা সুজন মিয়া ওই ছাত্রীর জামা ধরে টানাটানি করেন। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর মামা উপজেলা যুবলীগের নেতা তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে ওই কলেজে যান। এরপর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যান।

এ দিকে খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন খান ওরফে মহিদসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজে যান। এরপর তারা কলেজের মূল ফটক তালা দেন। পরে কলেজে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফটক তালাবদ্ধ থাকায় সাধারণ পরীক্ষার্থীরা বাইরে বের হতে পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তালা খুলে দিলে পরীক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যায়।

যুবলীগের নেতা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছেন। রবিবার পরীক্ষা শেষে তার ভাগ্নিকে শ্লীলতাহানি করে। খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে তাকে (সুজন) নিয়ে অভিযোগ জানাতে অধ্যক্ষের কাছে যাওয়া হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে সুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন খান বলেন, সুজন শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটায়নি। গত শনিবার একটি কর্মসূচিতে যুবলীগের ওই নেতা তাদের বহরে সুজনকে যেতে বলেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে না যাওয়ায় সুজনের ওপর ক্ষোভ ছিল ওই যুবলীগ নেতার। এ কারণে সুজনকে যুবলীগের ওই নেতা তাকে মারধর করেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা সুজন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল ইসলাম সিকদার বলেন, উত্যক্ত করার বিষয় নিয়ে সুজনকে নিয়ে ছাত্রীর স্বজনেরা তার কক্ষে এসেছিলেন। পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, এক ছাত্রীকে উত্যক্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দেশে আসছে নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে জ্যাকি চ্যানের সিনেমা
আরপিও সংশোধনে অষ্টম কমিশন সভা বৃহস্পতিবার, জানুন সভার আলোচ্যসূচি
৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
ফরিদা পারভীনের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মির্জা ফখরুলের 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা