কাজীপাড়াবাসীর দুর্ভোগের শেষ কবে?

শেখ সাইফ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০১৭, ১২:৩৭

রাজধানীর কাজীপাড়ায় বুধবার সকাল থেকেই বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে ছিল শত শত যাত্রী। সকাল নয়টার দিকেও তারা বাসে উঠতে পারছিলেন না। অথচ তখন অনেকের অফিস শুরু হয়ে গেছে। এ নিয়ে কারওয়ান বাজারগামী কামাল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বাসে উঠতে পারছি না। কোনো রিকশাও পাচ্ছি না। দু-একটি বাসের ভেতর খালি জায়গা থাকলেও দরজা বন্ধ করা। উঠার উপায় নেই।’

অধিকাংশ লোকাল বাস দরজা বন্ধ করে দিয়ে রীতিমত সিটিং সার্ভিস বনে গেছে। সড়কের দুই ধারে মানুষের দীর্ঘ সারি। হাঁটুপানির ভেতর জামাকাপড় ভিজিয়ে, জুতা হাতে নিয়ে কোনো একটি গাড়িতে উঠার অপেক্ষা। এ নিয়ে কথা হয় ইউনিভার্সিটিতে কোচিং করতে যাওয়া নাহিয়ান আতিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাড়ে দশটায় আমার ক্লাস। ফার্মগেট যাব। একটি গাড়িতেও উঠতে পারছি না। অধিকাংশ বাসেরই দরজা বন্ধ। যা দু-একটি খোলা আছে তাতে বাদুরঝোলা হয়ে ঝুলে আছে যাত্রীরা। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়াও বিপদ। আজকে আমার আর ক্লাস করা হবে না মনে হচ্ছে।’

সিটিং বাস গেটলক নিয়ে কথা হয় বিহঙ্গ গাড়ির চালক হান্নান মিয়ার সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মামা আমাদের তো সিটিং সার্ভিস গাড়ি। যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ে। কিচ্ছু করার থাকে না।’ আজকে সিটিং না করলেও তো পারতেন এমন কথায় হান্নান বলেন, ‘আজকে মিরপুর দশ থেকেই গাড়ি ভরে গিয়েছে তাই সিটিং করে দিয়েছি। আমার গাড়িতে ফার্মগেটের আগে কোনো যাত্রী নামবে না। তাই গেট লক।’

মা যাবে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে। তিনি রিকশাও পাচ্ছেন না। এদিকে স্কুলের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। আক্ষেপ নিয়ে আয়েসা খানম জানালেন, ‘কবে যে মুক্তি হবে আমাদের। কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াবাসীর দুর্ভোগের আর শেষ নেই।’

মিরপুর বার থেকে আসা সব গণপরিপহনই ভরে ভরে আসছে। উঠার কোনো উপায় নেই। তারপর আবার থেকে ঠেকে বৃষ্টি। এ যেন আবার ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’। সড়কের দুই ধারে বৃষ্টির পানিতে থইথই। কোথায় হাঁটু জল, কোথায় খানাখন্দ তা বোঝার উপায় নেই। একটু বৃষ্টি হলেই যেন নদীতে পরিণত হচ্ছে কাজীপাড়া।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :