শেখ হাসিনার কাছে জনতার আকুল আবেদন

শ্রদ্ধেয় ও প্রাণপ্রিয় শেখ হাসিনা, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনি নিত্যদিনের অকল্পনীয় পরিশ্রমের পরেও মানুষের দোয়ায় ভালো আছেন। আপনাকে ‘মাননীয়’ বলা দরকার ছিল। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধান। কিন্তু ইচ্ছে করেই ‘মাননীয়’ বললাম না। কারণ এটা সরকারি কোনো দাপ্তরিক দরখাস্ত নয়। শ্রদ্ধার এবং ভালোবাসার মানুষকে কেউ ‘মাননীয়’ বলে সম্বোধন করে না। এটি একটি আমলাতান্ত্রিক শব্দ। প্রোটকল আর ভালোবাসার মধ্যে পরিষ্কার ব্যবধান আছে। তাই গোস্তাখি মাফ করবেন।
আপনাকে আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি; তাই একটু আনঅফিসিয়াল ভাষা আপনাকে মেনে নিতেই হবে। আজকালকার ডিজিটাল যুগে বাবা-মাকেই কেউ আর চিঠি লেখে না। সেখানে আপনাকে চিঠি লিখতে বসলাম। চিঠি কীভাবে আপনার কাছে পৌঁছাবে জানি না। কিন্তু ভালোবাসার শক্তি বড় শক্তি। আপনিও আমাদেরকে ভালোবাসেন। তাই এই চিঠি আপনার হাতে পৌঁছাবে এমন একটা বিশ্বাস কেন জানি মনের ভেতরে কাজ করছে। আবেগ দিয়ে কি না হয়! ১৯৭১ সালে এমন আবেগ আর বিশ্বাস দিয়েই কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীকে যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিল।
চিঠির সূচনা একটু দীর্ঘ হয়ে গেছে মনে হয়। কোনোদিন ভাবিনি, আপনার কাছে এভাবে চিঠি লিখতে বসব। তাই তালগোল পাকিয়ে ফেলা স্বাভাবিক। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও আপনাকে খুব দূর জগতের মানুষ বলে মনে হয় না। এদেশের কোটি কোটি মানুষ আপনাকে তাদের হৃদয় মাঝে স্থান দিয়ে রেখেছে। হৃদয়ের এই স্থানটি আবার অধিকাংশেরই স্থায়ী, অপরিবর্তনযোগ্য। কিন্তু আজ যিনি জীবিত, কাল হয়ত হয়ে যাবেন মৃত। মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে না। তাই নতুন প্রজন্মের ভেতরে আপনার আদর্শ, সংগ্রামের ইতিহাস যতবেশী সজীব থাকবে ততবেশি আপনার সংগ্রাম সফল হবে। যেমন এদেশের মানুষ আপনার বাবা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে ও মগজে চিরদিনের মধ্যে স্থান দিয়ে রেখেছে।
যারা আপনার বাবা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছে, উনার স্বাধীনতার ঘোষণা ও আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাঁরা, তাদের ছেলে-মেয়েরা, নাতি-নাতনিরা গল্প শোনে, বই পড়ে, ইতিহাস জেনে বংশানুক্রমিকভাবে জাতির জনককে চিনতে ও ভালোবাসতে শিখেছে। আপনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। আপনার পেছনে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং গড়ে উঠা এদেশের লাখ লাখ পরিবার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী পরিবারগুলোই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। কিন্তু এবার যা হল, তাতে যদি ঠিকমত ব্যবস্থা নিতে না পারেন তাহলে আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশ নিঃশেষ হতে সময় লাগবে না বেশি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, আদর্শই যদি বেঁচে না থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ কেন, এদেশটাই টিকবে না।
একজন ইউএনও শিশুদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্কেচ আঁকানোর মত সৃজনশীল কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। এই ইউএনওর বয়স কত? ৩৪/৩৫ এর বেশি হবে না। এই বয়সে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক নানা চাপ এবং অসহযোগিতা সামলে ইউএনও সাহেব বঙ্গবন্ধু ও শিশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের যে অত্যন্ত কার্যকরী একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে সংশ্লিষ্ট সকলের আশান্বিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য! আওয়ামী লীগেরই এক নেতা ইউএনও সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন। আরও আশ্চর্যের বিষয়, আদালত সে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করলেন। অভিযোগ হল, বিজয় দিবসের দাওয়াত কার্ডে একটি শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর স্কেচটিতে নাকি বিকৃতি আছে! বঙ্গবন্ধুর চেহারা বিকৃত করতে নাকি গালে তিল যুক্ত করা হয়েছে!! জাতির জনককে আমরা সকলেই ছোট বেলা থেকে ছবি, বই, টেলিভিশনের পর্দায় দেখে এসেছি। আমাদের জাতির জনক আপনার বাবা; মেয়ে হিসেবে আপনিই বলুন বঙ্গবন্ধুর গালে তিল ছিল কি না?
মামলায় বলা হয়েছে, এই স্কেচ দেখে বাদী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজুর নাকি হৃদকম্পন বেড়ে গিয়েছিল! ছবিটি নিশ্চয় আপনিও দেখেছেন ইতিমধ্যে। সত্যি করে বলুন তো, এই স্কেচ দেখে আপনি কেমন মেহসুস করেছিলেন? আপনাকে যতদূর আমরা জানি, তাতে আমাদের বিশ্বাস যে, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর এই স্কেচ দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে বলেছেন ‘বাহ, অনেক সুন্দর!’ আপনারও ঘরে নাতি-নাতনি আছে। আমরা জানি যে, আপনি দেশের সব শিশুকেই নিজের নাতি-নাতনির মত ভালোবাসেন। কিন্তু বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক যে কাজটি করলেন তাতে ভীষণ দুঃখ পেয়ে কুঁকড়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। এক ঢিলে আওয়ামী লীগের এই জেলা পর্যায়ের নেতা কতগুলো সুরের পাখি হত্যা করেছেন তা ভাবলে খুবই দুশ্চিন্তা হয় আমাদের।
একদিকে তিনি প্রশাসন ক্যাডারের সকল কর্মকর্তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন, অন্যদিকে শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও এভাবে হাতকড়া পড়িয়ে আদালাতে আনা-নেয়া করা হয়নি। ইউএনও সালমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। নিজেও কবিতা লিখেন। সালমানের বন্ধু-বান্ধবদের ফেসবুকে লেখা নানা পোস্ট পড়ে আমরা জেনেছি, বইমেলায় তার কবিতার বই বের হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারের আমলা হয়ে ‘বনেদী’ বনে যাবার পরেও সালমান সাহিত্য চর্চা ছেড়ে দেননি। কোন কবি যেন একবার মজা করে লিখেছিলেন, ‘পুলিশও গায় রবীন্দ্রসঙ্গীত!’ এমন যদি হত সালমান দুর্নীতি করে ধরা পড়ে জেলে গেছেন, তাহলে আজ কেউ দুঃখ করত না। বরং আমরা সরকারের প্রশংসা করতাম। কিন্তু আমরা দেখলাম বাচ্চাদের দিয়ে ছবি আঁকানোর অপরাধে একজন দেশপ্রেমিক, সৎ, ক্রিয়েটিভ, উদ্যমী ইউএনওকে কারাগারে প্রেরণ করা হল!
দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা, তাদের বাবা-মায়েরা, স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা, শিল্পী-সাহিত্যিকরা সবাই দেখলেন এই ঘটনা। ইউএনও সালমান আওয়ামী লীগের এই নেতার ব্যক্তিগত টার্গেট ছিলেন সেটা বোঝা যায়। টার্গেট যদি শিশুটি হত কিংবা তার পরিবার? তাহলে আরও ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যেতে পারত। শিশুটি চৌদ্দ শিকের জেলে না গেলেও মানসিক জগতে বন্দী হয়েছে সেটি বলা যায় নির্দ্বিধায়। আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধুর স্কেচ আঁকার দায়ে শুধু একটি শিশু নয়, একটি পরিবার নয়, এদেশের সব পরিবারের সব শিশুকেই মানসিক কারাগারে প্রেরণ করার রাস্তা তৈরি করেছেন। যে শিশু বা তার পরিবার জানবে, একটি শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর স্কেচ বিজয় দিবসের কার্ডে ব্যবহার করে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেল খেটেছেন তখন কার সাহস হবে এমন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কাজ পুনরায় করতে? অথচ সরকার এখন আওয়ামী লীগের আর বঙ্গবন্ধু এই দলের প্রাণ।
গত আট বছরে স্বচ্ছ বিসিএস প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে কত শিবির নেতা এখন পুলিশ, প্রশাসনে আছে তার হিসেব কে রেখেছে? বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে শিবিরের বড় নেতা ছিল, সে এখন হয় ঢাকার আশপাশেই ইউএনও হয়ে কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের খুবই স্পর্শকাতর পদে বসে আছে। অথচ ছাত্রলীগ করা অনেক ছেলে-মেয়ে হয় বাজে পোস্টিং নিয়ে দূরে কোথাও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে অথবা চাকরি খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়েছে। এমনও ঘটনা আমরা জানি, বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে একাধিকবার হাজির হয়েও অনেকের চাকরি হয়নি। কারণ এরা নাকি ছাত্রলীগ এর নেতা-কর্মী! যাইহোক, সবাই ছাত্রলীগ করবে এমন কোনো কথা নেই। জাতির জনকের আদর্শ সার্বজনীন। যে কেউ জাতির জনকের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে সততার সাথে কাজ করতে পারেন। আদতে যে কোনো সৎ, দেশপ্রেমিক, উদ্যমী, উদ্যোগী মানুষই আসলে জাতির জনকের অনুসারী, মুখে সে জয়বাংলা বলে স্লোগান দিক আর না দিক।
কিছুদিন আগে এক ইউএনওর নিউজ পড়েছিলাম, জাতীয় স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামে নিজের উপর অর্পিত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন না করে জামায়াতের স্থানীয় আমিরের সাথে উনি পিকনিক করতে গেছেন। কই, আদালত কিংবা পার্টি থেকে তো এই ইউএনওর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ কোন বাংলাদেশ? এ কোন আওয়ামী লীগ?
শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের উপর বিরক্ত হবেন না। আপনার মন্ত্রীরা পর্যন্ত কথায় কথায় আপনার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ অবস্থান বেছে নেয়। কোথাও কোনো বড় মার্ডার হলে, মন্ত্রী বলেন, আপনি নাকি সব মনিটর করছেন, যা করার আপনিই করবেন। বন্যা হলে, পাহাড় ধ্বসে মানুষ মারা গেলে, কোথাও কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলে, সব দায়িত্ব আপনার কাঁধে এসে পড়ে। দেশের মানুষ বুঝে গেছে, বড় কোনো সমস্যার সমাধান একমাত্র আপনিই দিতে পারেন। তাই আমরাও আপনারই শরণাপন্ন হয়েছি।
আপনি একটা জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন, পুরো দল এবং সরকার থেকে আপনার জনপ্রিয়তা ঢের বেশি। এমন একটা জরিপ ইতোমধ্যে হয়েছে এবং দেখা গেছে, মানুষ আপনার উপর বেশি ভরসা করে। আপনার অনুসারী, ভক্ত এবং আপনার নিজের জন্য এই খবর খুব সুখদায়ক হলেও পুরো সিস্টেমের বিচারে ভালো প্রবণতা নয় এটি। বাকিরা সততা এবং নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করে না বলেই মানুষ আপনাকেই একমাত্র মুক্তির পথ বলে মনে করে। বরিশাল বিভাগে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ অনেক বড় বড় জাতীয় নেতা রয়েছেন। তারা এই বিষয়টি নিশ্চয়ই জানতেন। গ্রামের মেম্বার, চেয়ারম্যানদের সব খবর তারা রাখেন, আর এমন একটি মামলার খবর তারা জানতেন না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তারা যে কেউ চাইলেই এই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দুর্ঘটনা বহু আগে থামাতে পারতেন। তারা সেটা করতে পারেননি বলেই আজ আপনাকে কষ্ট পেতে হল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোটি কোটি বাঙালিকে কষ্ট পেতে হল।
এখনো সবটুকু নষ্টদের অধিকারে চলে যায়নি। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। যে শিশুটি এই স্কেচ এঁকেছে তাকে এবং ইউএনও সালমান তারিককে আপনার দপ্তর বা বাসায় ডেকে এনে একটু আদর করে দেন। সারা দেশের মানুষ দেখবে। বাচ্চারা আরও সুন্দর করে, নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকার উৎসাহ পাবে। শিশুরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে শিখে, তাঁর জীবনী পড়ে, দেশকে ভালোবেসে আত্মত্যাগ করতে শিখে তাহলেই সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের মনে ও মগজে বেঁচে থাকলেই কেবল বাংলাদেশ বাঁচবে। সমাজে পুরষ্কার এবং তিরস্কার করার ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ সঠিক কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
ধর্ম সম্পাদক সাজু সাহেব আওয়ামী পরিবারে জন্ম নেননি, এ কথা আমরা এখন হলফ করে বলতে পারি। এই ওবায়দুল্লাহ সাজু রাজনৈতিক অস্বচ্ছতার সুযোগ নিয়ে দলে ঢুকেছেন। ইনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক নন, এর আদর্শ ভিন্ন। আপনি দলের সভাপতি, দলের প্রাণ। মানুষ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, মানুষ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এর উপর ভরসা রাখে। আমরা এই ওবায়দুল্লাহ সাজুর মত মানুষকে দলে দেখতে চাই না। প্লিজ, আপনি একে দল থেকে বহিষ্কার করুন, একে শাস্তি দিন।
যারা শুধুই দেশের বদনাম করে, শুধুই পিছিয়ে পড়ার গল্প করে, আমরা তাদের দলে নই। বাংলাদেশের সৃষ্টি আর টিকে থাকার পেছনে জাতির জনকের এবং তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের কথা এখানে বলে শেষ করা যাবে না। স্বাধীনতার বিরোধীশক্তি জাতির জনককে হত্যা করেছে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। আপনাকে হত্যার জন্য বার বার হামলা করেছে। এরপরেও আপনি বেঁচে আছেন এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতি।
আপনার এবং সরকারের সমস্ত সাফল্য এই কিছু নেতা-কর্মীর অপকর্মের জন্য ম্লান হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, শহরের মানুষ জলাবদ্ধতা আর যানজট-চিকনগুনিয়ায় নাজেহাল। সেখানে আমাদের মেয়র বলে যে ঘরে ঘরে মশারি টানাতে পারবেন না। এত কিছুর পরও মানুষ শুধু আপনার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আপনি এই বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধীদের দল থেকে বের করে দিন। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শিশুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য একে বিচারের আওতায় আনুন। এমন মানুষ আওয়ামী লীগের হতে পারে না, এমন মানুষকে জনগণ আওয়ামী লীগ এ দেখতে চায় না।
ইতি
জনগণের পক্ষে
শেখ আদনান ফাহাদ
সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য করুন