তিনগুণ লাভ ময়মনসিংহের আনারস চাষীদের
ময়মনসিংহে এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পাকতে শুরু করেছে আনারস। এখানকার আনারস যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। এবার আনারসের দামও হাতের নাগালে। তারপরও কৃষকরা জানান আনারস চাষে খরচের চেয়ে প্রায় তিনগুণ লাভ হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে জানা যায়, ময়মনসিংহ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে এবার চল্লিশ হাজার একরেরও বেশি জমিতে আনারসের আবাদ হয়েছে।
জেলার মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর উপজেলা জুড়ে চাষ হয়েছে আনারসের। কৃষক ও স্থানীয় কৃষিবিভাগ জানায়, প্রতি হেক্টর জমিতে সত্তর থেকে আশি আবার কোথাও কোথাও শতটন পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।
বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রকার- আকার ও ওজন ভেদে প্রতিটি আনারস ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বিগত মৌসুমের চেয়ে এবার চাষিরা আনারস বাণিজ্যিকভাবে ফলাতে উদ্যোগী বেশি হয়েছেন। এ অঞ্চলে আনারস অর্থকরী ফসল। সুষ্ঠুভাবে মিশ্র চাষেও খরচের প্রায় তিনগুণ লাভ পাচ্ছেন চাষি।
সরকারের কৃষি বিভাগও আনারস চাষে সহায়তা দিয়েছেন। স্থানীয় কৃষিবিভাগরে সহায়তা ও কৃষকদের চেষ্টায় বাম্পার ফলন হয়েছে এবার।
মুক্তাগাছার আনারস চাষি হারুন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিশ্রচাষ হিসাবে আনারসের চাষ করছি। খরচের চেয়ে লাভ প্রায় তিনগুণ বেশি পাই। ফলন হওয়ার পরে সেই গাছ থেকেই চারা তৈরি করে ফের রোপন করি।
ফুলবাড়িয়ার আবুল কালাম জানান, আনারস চাষে লাভ ভালই। কয়েকবছর ধরে বাণিজ্যিক ভাবে জমিতে আনারস চাষ করছি ।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা , ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর উপজেলায় যেখানে আনারস উৎপাদন হয়। এ অঞ্চলটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল শালবনের একাংশ। শাল বন এলাকার মাটি আনারস চাষের উপযোগী। এখানের জলবায়ু আনারসের অনুকূল। তাই বৃহত্তর ময়মনসিংহে আনারসের চাষ প্রধানত হয় গড় অঞ্চলেই।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)