রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি প্রশ্নে আপত্তি মিয়ানমারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ আগস্ট ২০১৮, ১২:২১ | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৮, ১১:৪৯

রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের ‘বিতাড়নের’ ঘটনা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)প্রসিকিউটরের আবেদনে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার৷ দেশটি বলছে, এব্যাপারে আইসিসির এখতিয়ারের প্রশ্ন ‘সারবত্তাহীন’ এবং তা ‘নাকচ হওয়া উচিত’।

এর আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের বক্তব্য চেয়েছিলেন আইসিসির বিচারকরা৷ তবে মিয়ানমার আইসিসির সঙ্গে কেন সম্পৃক্ত হতে চায় না এবং তারা কেন বক্তব্য দেবে না, তার একটি ব্যাখ্যা দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দপ্তর দিয়েছে।

বিবৃতিতে সুচির দপ্তর বলেছে, ‘প্রসিকিউটরের আবেদন মিয়ানমারের ওপর বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে, যেখানে দেশটি রোম সনদের স্টেট পার্টিই নয়৷’

তবে মিয়ানমারের এ বিবৃতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিসির বক্তব্য পায়নি রয়টার্স৷

বিশ্বের প্রথম স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালত আইসিসি শুধু সদস্য দেশগুলোর ভেতরের বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার রাখে। এছাড়া তারা বিষয়গুলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঠাতে পারে৷

তবে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের ঘটনা ‘আন্তঃসীমান্ত বিরোধের মধ্যে পড়ে’ বলে আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতোও বেনসুদা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে আবেদন করেন৷

এরপর আদালত বাংলাদেশের কাছে বিষয়টি নিয়ে মতামত চাইলে তাতে সম্মতি জানানো হয়েছিল বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন৷

কিন্তু সু চির দপ্তর বলছে, ‘প্রসিকিউটরের এই মামলায় অংশ হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মিয়ানমারের এবং এ বিষয়ে এখতিয়ার দেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে ‘নানা জনপ্রিয় বিষয়’ এবং আইসিসি সদস্য বহির্ভূত দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার একটি ‘বিপজ্জনক নজির তৈরি করবে’।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে আইসিসির বিরুদ্ধে ‘প্রক্রিয়াগত অনিয়ম’ এবং ‘স্বচ্ছতার ঘাটতির’ অভিযোগও তুলেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ৷

গত বছর আগস্টের শেষ দিকে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে৷ কয়েক মাসের মধ্যে আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে৷

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মতো মানতবাবিরোধী অপরাধের বিবরণ দিয়েছেন৷ মিয়ানমার বাহিনীর ওই অভিযানকে 'জাতিগত নির্মূল অভিযান' হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা৷

মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য না হওয়ায় সেখানে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার নেই আইসিসির৷ সে কারণে এখতিয়ারের পক্ষে আদেশ চেয়ে ওই আবেদন করেন বেনসুদা৷

দাবির পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তাদের বিতাড়নের বিষয়টি যেহেতু আন্তঃসীমান্ত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং বাংলাদেশ যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য, সেহেতু বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্য থেকেই আইসিসি ঘটনাটি খতিয়ে দেখার এখতিয়ারের পক্ষে রুল দিতে পারে৷

ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/একে/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে জোর দিচ্ছে ইরান-সৌদি

সৌদিতে ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার

হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

অস্ট্রেলিয়াজুড়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, সংযত ভূমিকায় পুলিশ

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনাদের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২২০০ জন গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের প্রথম চন্দ্রাভিযান শুরু, স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ

ব্রাজিলে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ 

গাজা পুনর্গঠনে সময় লাগবে কয়েক দশক, খরচ ৪০ বিলিয়ন ডলার: জাতিসংঘ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :