কলেজ শিক্ষকের কাছে টাকা চেয়ে ফাঁসছেন দুই পুলিশ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৩
ফাইল ছবি

নারীকে ‘হাতিয়ার’ করে সরকারি কলেজ শিক্ষকের কাছে টাকা চেয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দুই সদস্য। নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হচ্ছে আরএমপি কমিশনারের কাছে।

অভিযুক্তরা হলেন- চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা। এএসআই মমিন আরএমপি পুলিশলাইনে প্রশিক্ষণে থাকলেও কনস্টেবল মোর্তজাকে নিয়ে থানা এলাকায় ওই একজন শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, ‘শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হয়ে দেখি, রাস্তার পাশে দুই ব্যক্তি এক নারীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা হঠাৎ করে আমাকে ডেকে বলেন- আমি নাকি তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা নারীকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছি। এ সময় ওই দুজন পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় নিতে চান। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।’

‘আমি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে টাকা দেওয়ার নামে কৌশলে তাদের নগরীর ভদ্রা মোড়ে নিয়ে যাই। এরপর পরিচিত লোকদের নিয়ে তাদের আটক করি। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর এসে তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান।’

এএসআই আবদুল মমিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘আসলে বিষয়টি সে রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতে চাইছে না।’ তবে বিষয়টি কি রকম জানতে চাইলে তিনি চুপ ছিলেন।

চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বুধবার দুপুরে বলেন, এএসআই মমিন থানায় কর্মরত হলেও পুলিশ লাইনে ট্রেনিং করছেন। সেখান থেকে কেন থানা এলাকায় এসেছিলেন সেটাই তো বড় প্রশ্ন। তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। থানার কনস্টেবল মোর্তজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা লেখালেখি করছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/ব্যুরো/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :