পুলিশি তদন্ত নিয়ে নাখোশ অভিজিতের বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইম
| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৩ | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩১
অভিজিতের বাবা অজয় রায়

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার চার বছর পর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে ১১ জনকে শনাক্ত করলেও পাঁচজনের নাম জানাতে পারেনি সংস্থাটি। হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর অভিযোগপত্র প্রস্তুত এবং সব আসামির নাম জানাতে না পারাকে পুলিশের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন মামলাটির বাদী অজয় রায়। তিনি অভিজিতের বাবা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক।

এই মামলার তদন্তে পুলিশের দুর্বলতা ছিল জানিয়ে এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিজিতের বাবা। ছেলে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়েও প্রকাশ করেছেন সংশয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশের গ্রন্থমেলা চলাকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায়কে। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী বন্যা আহমেদও হামলার শিকার হয়ে একটি আঙুল হারান। এ ঘটনায় পরদিন অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর অভিযোগপত্রটি অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তথ্যমতে এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযুগে চাকরিচ্যুত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অন্য আসামিরা হচ্ছেন: মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবী। আসামিদের মধ্যে তিনজন এখন কারাগারে, একজন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন, মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজন পলাতক। অপর পাঁচজনের শুধু সাংগঠনিক নাম জানা গেছে। তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেনি গোয়েন্দা পুলিশ।

অভিজিৎ হত্যার অভিযোগপত্র প্রসঙ্গে মামলাটির বাদী অজয় রায় ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা চরম অকর্মণ্য। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে কি চার বছর লাগে। আমি একবার আইজিপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন তাকে বলেছিলাম, পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে র‌্যাব, সিআইডি অথবা সেনাবাহিনীর কোনো বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করান।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, চার বছরে তদন্ত শেষ করা পুলিশের দুর্বলতা এবং সদিচ্ছার অভাব। আর যারা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় না, তারা এই হত্যার তদন্তকে প্রভাবিত করেছে বলে আমার ধারণা।’

অজয় রায় বলেন, ‘প্রথম দিকে তদন্তকারী দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পরে অনেক দিন করেনি। আবার ২০১৮ সালের মে মাসে তারা দুবার কথা বলে গেছে। তখন তারা বলেছিল আমাদের কাজ শেষ এখন এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। তখন পুলিশের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার আমাকে অভজারভেশনের কপি দিয়েছিলেন।’

ছেলে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে অভিজিতের বাবা বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষ করতে চার বছর লেগেছে। এখন বিচারকাজ শেষ করতে কত দিন লাগে সেটাই দেখার বিষয়।’

অজয় রায় জানান, অভিজিতের স্ত্রী বন্যা এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন। বন্যার সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয় বলে জানান প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ। তিনি জানান, সিদ্ধেশ্বরীর একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তবে শারীরিকভাবে তিনি খুব একটা ভালো না। ছেলে হত্যার বিচারটুকু হয়েছে-মৃত্যুর আগে এই সান্ত্বনাটুকু পেতে চান অভিজিতের বাবা।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: শিডিউল বিপর্যয়ে দিনভর যাত্রীদের ভোগান্তি

মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত এলিভেটেড রেললাইন হবে: রেলমন্ত্রী

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীর জানাজা বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ: বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চলাচলে ভোগান্তি

আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা

আজ থেকে বাড়ছে ট্রেনভাড়া, জানুন কোন রুটে কত

এখনই মিলছে না মুক্তি, আরও ২ দিন দাবদাহের পূর্বাভাস

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :