ওমরা শেষে অফিসে, বনানীর আগুনে প্রাণ গেল পারভেজের
সৌদি আরবে সপরিবারে ওমরা পালন শেষে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ফিরে এলেন পারভেজ সাজ্জাদ। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর এফ আর টাওয়ারের অফিসে কাজে যোগ দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বলুগ্রামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ। ওই টাওয়ারের ১১ তলায় শ্রীলঙ্কাভিত্তিক স্কিন ওয়েল কোম্পানিতে সিনিয়র ম্যানেজার ছিলেন তিনি।
আগুন লাগার পরে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে শেষবারের মতো মোবাইল ফোনে পারভেজ বলেন, ‘আমাদের অফিসে আগুন লেগেছে। কি হয় বলা যায় না। আমার জন্য দোয়া করো। অন্যদেরও দোয়া করতে বলো। এর কিছুক্ষণ পর আর তার মোবাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।’
তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় নিহত পারভেজ সাজ্জাদ।
ছোট ভাই পারভেজ খসরু জানান, ‘বাবা মারা যাবার পর সবকিছুই তার বড় ভাই দেখাশোনা করতেন। ভাই ভাইয়ে সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো।’
তিনি বলেন, ‘তার একমাত্র ছেলে সিয়াম মৃধা এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ওই দিন বাপ-বেটা সকালে অন্য কাজে বেরিয়েছিলেন। কাজ শেষ করে ছেলেকে বাসায় রেখে তিনি একটি উবার গাড়ি নিয়ে অফিসে গিয়েছিলেন। এটাই তার শেষ যাওয়া হবে- এটা কি আর ভাবতে পেরেছিলেন? বাবা-ছেলের সাথে এটাই শেষ দেখা!’
নিজেদের বাড়ির মসজিদের পাশে বাবার কবরের পাশে পারভেজকে সমাহিত করা হয় সকাল ১০টায়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে তার লাশ নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। রাতেই এলাকার লোকজন এসে তাদের বাড়িতে এসে ভিড় জমায়।
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এলএ)