এবার ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার

ফেনীতে যৌন হয়রানি ও নুসরাত হত্যার ঘটনার রেশ না কাটতেই কুমিল্লায় এক ইমামের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ইমাম মাহফুজুর রহমানকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাহফুজ ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার। বলেন, ‘ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণপাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে তার ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ইমাম। পরে গামছা দিয়ে মুখ পেচিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।’

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভ্যানচালক বাবা অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে কাছে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।’

মেয়েটির মা জানান, ‘তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখাপড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীয় কাজ করে।’

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, ‘মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির রক্তক্ষরণ হয়েছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামকে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে থানায় জানালে পুলিশ এসে ইমামকে গ্রেপ্তার করে।’

অভিযুক্ত ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দেবিদ্বার থানার ছোট শালঘর দক্ষিণপাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এলএ)