একমাসে উচ্ছেদ তিন সহস্রাধিক স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৫০| আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২১:১২
অ- অ+

রাজধানীর নদী উদ্ধার অভিযানে এক মাসে তিন হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। এছাড়া অভিযানে জব্দ হওয়া মালামাল চার কোটি পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হয়েছে। একই সাথে জরিমানা আদায় হয়েছে আরো তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার তুরাগ নদের তীরের কামারপাড়া সংলগ্ন মাছিমপুর মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডাব্লিউটিএ। অভিযানে নদ দখল করে গড়ে তোলা ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে ১১টি একতলা পাকা ভবন, ১০টি আধাপাকা স্থাপনা, ২০টি টিনের ছাউনি, পাঁচটি গোডাউন, ৪৫টি টিনের ঘর, সাতটি সীমানা দেয়াল ও ছয়টি বালুর গদি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এ সময় নদের চার একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। আর এদিন জব্দ মালামাল নিলামে ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ। অভিযানে মোট ৩০ কার্যদিবসে ৩ হাজার ১৭৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্ত হয়েছে নদের ৮১ একর জায়গা।

এর মধ্যে প্রথম দুই দফায় ২৪ কার্যদিবসের অভিযানে উচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৮৪৬টি স্থাপনা। এ সময় আবাসিক স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ভাঙা পরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। যাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, দুদকের আইনজীবী, রাজউকের ঠিকাদার, বিটিসিএলসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বড় বড় স্থাপনা বিলীন হয়ে যায় অভিযানে। যা পুরোপুরি অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল।

তৃতীয় পর্বের অভিযান এখনো চলমান। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্য ফিরিয়ে দিতে ড্রেজিংয়ের কথা জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ।

নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। যার মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/ ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
শহীদ জিয়ার মাজার এলাকায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না: রাশেদ প্রধান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা