নদী রক্ষায় ‘সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকার খুঁটি

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ মে ২০১৯, ১০:৩৮| আপডেট : ১৮ মে ২০১৯, ১২:৪৬
অ- অ+

রাজধানী ঢাকার চারপাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর সীমানা নির্ধারণে পুনরায় সীমানা খুঁটি বসাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। দীর্ঘস্থায়িতের জন্য বসানো হবে প্রায় ১০ হাজার খুঁটি। এতে মোট ব্যয় হবে সাড়ে তিন শ কোটি টাকা।

ব্যয়বহুল এসব সীমানা খুঁটি ১০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। তিনি জানান, নদীর সীমানা নির্ধারণে ১০ হাজার খুঁটি বসানো হবে। প্রতিটি খুঁটির মূল্য হবে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে।

আরিফ উদ্দিন জানান, প্রতিটি সীমানা খুঁটি কমপক্ষে ৩০-৩৫ ফুট মাটির নিচে থাকবে, যা আরসিসি ঢালাই করা থাকবে। মাটির উপরে দৃশ্যমান হবে খুঁটির ১৬ ফুট। নদীর দুই তীরে প্রায় ২২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাড়ে দশ হাজার সীমানা খুঁটি স্থাপনের কথা রয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কিছুটা কমতেও পারে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক।

ঢাকা টাইমসকে আরিফ উদ্দিন জানান, ‘নদীর ১১০ কিলোমিটার এলাকার দুই পাড় মিলে ২২০ কিলোমিটারে দশ হাজার সীমানা পিলার বসতে পারে। যেহেতু আমরা অনেক বড় বড় সীমানা এবং দীর্ঘস্থায়ী পিলার বসাচ্ছি, সেহেতু ঘন ঘন না বসালেও হবে। ফলে সে সংখ্যাটা কিছুটা কমেও আসতে পারে।’

বিআইডব্লিউটিএর এই কর্মকর্তা বলেন, সীমানা পিলার হওয়ার পর পিলার ঘেঁষে ওয়াকওয়েও নির্মাণ করা হবে। এজন্য আগামী এক মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরপরই কার্যাদেশ দেয়া হবে।

পুরো কাজটিই বিআইডব্লিউটিএ তদারকি করবে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক জানান, এবার শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে সীমানা খুঁটি বসাতে পারবে না। পুরো কাজটিই বিআইডব্লিউটিএ তদারকি করবে।

গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা অভিযানটি তিন পর্বে পরিচালিত হয়। প্রতি পর্বে ১২ কার্যদিবস হিসেবে তিন পর্বে মোট ৩৬ কার্যদিবস অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ।

তিন পর্বে চালানো অভিযানে নদী তীরভূমি দখল করে গড়ে তোলা ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

এছাড়া জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরও ৫ কোটি ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায়ের কথা জানায় বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক। অভিযানে বাধা দেয়া ও অবৈধভাবে নদী দখলের কারণে ২২ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলাও করে সংস্থাটি।

পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্যতা নদীকে ফিরিয়ে দিতে নদীতে ড্রেজিং করার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। যারমধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/কারই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
শহীদ জিয়ার মাজার এলাকায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না: রাশেদ প্রধান
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা