‘সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসায় হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪১
অ- অ+

উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে হাঁটু ব্যথার রোগীরা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. নজরুল ইসলাম।

দেশের দশভাগ বয়স্ক মানুষ হাঁটু ব্যথা বাত রোগে আক্রান্ত এমন দাবি করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসায় হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অন্যথায় একটা পর্যায়ে এসে হাঁটু প্রতিস্থাপন করারও প্রয়োজন হয়ে পড়তে পারে।’

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে মডার্ন ওয়ান স্টপ আর্থ্রারাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে ‘টেইলর টু ট্রিট ওয়ে নি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হাঁটু ব্যথার রোগীদের সঠিক চিকিৎসার ধাপগুলো সম্পর্কে চিকিৎসকদের অবহিতকরণের লক্ষ্যে এর আয়োজন করা হয়। নানা কারণে হাঁটু ব্যাথা রোগ হতে পারে এমনটা উল্লেখ করে অধ্যাপক নজরুল বলেন, ‘দেশের শতকরা দশজন বয়স্ক মানুষ হাঁটু ব্যথা রোগে ভোগেন। এই রোগ বয়সের কারণে, ওজন, বংশগত ইতিহাস যদি থাকে তাহলে হতে পারে। এছাড়া দৈনন্দিন বিভিন্ন যেসব কাজ করে যেমন- ওঠা, বসা, দৌঁড়ে গাড়িতে ওঠা, সিঁড়িতে ওঠা, লাফ দিয়ে বাস থেকে নামার ফলে হাঁটুর তরুণাস্থির ক্ষয় হয়। ফলে একটি হাঁটুর হাড় একটির সঙ্গে আর একটি লেগে যায়। এই ঘর্ষণের কারণেই মানুষ হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করে।’

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য এই রোগটি চলমান। তাই যদি শুরুতেই সঠিক চিকিৎসা না হয়, রোগীরাও যদি বিষয়টি না বুঝেন আর ধাপে ধাপে চিকিৎসা না হয়, তাহলে একসময় হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে হয়।’

এই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘হাঁটু ব্যথা বাত রোগের ফলে রোগীদের জীবন মান কমে যায়। অনেককে হুইল চেয়ারে করে চলাচল করতে হয়। স্বাভাবিক চলাফেরাও করতে পারেন না, ফলে ঘরের মধ্যেই তাদের জীবন ধারণ করতে হয়।’

এই রোগের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা তুলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বয়সকালে এই সমস্যার তৈরি হয় তখন অনেকের ডায়েবেটিকস, হার্ট ও কিডনির সমস্যা হয়। তাই তাকে অনেক ওষুধ খেতে হয়। আবার অনেক সময় কিছু ওষুধ দেয়াও যায় না রোগীদের। গবেষণা বলছে, দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে আসা কিছু ওষুধ আছে যা এমন রোগীদের জন্য নিরাপদ নয়।’

এই সমস্যায় হাঁটুর জয়েন্টে ইনজেকশন দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘এই ইনজেকশনও বেশিদিন কাজ করে না। আবার দামি কিছু ইনজেকশন আছে, যা হয়ত রোগীকে বেশিদিন ভালো রাখে। কিন্তু তাও সবার জন্য সমান কাজ করে না। তখন অনিয়ম এই মানুষগুলোর জন্য নিয়মে পরিণত হয়। এই মানুষগুলো এক পর্যায়ে স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেক দূরে সরে যায়। ফলে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।’

আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা থেকে রোগীদের পরিত্রাণ পেতে চিকিৎসকদের যুগোপযুগী করতে ‘টেইলর টু ট্রিট ওয়ে নি’ প্রোগ্রাম।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/বিইউ/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পটুয়াখালী-৩: নুর, মামুন নাকি রনি?
লেবাননে ১০ কোটি ডলারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনো ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পারেনি র‍্যাব
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা