কুমিল্লায় অধ্যাপক মোজাফফরের দাফন কাল

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ-মোজাফফর) প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তৃতীয় এবং চতুর্থ জানাজা শেষে রবিবার বাদ জোহর কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে তার বাস ভবনের সামনে সমাহিত করা হবে।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরহুমের মরদেহ রাখা হয় এবং পরে বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেবিদ্বার উপজেলা ন্যাপের সভাপতি অনিল চক্রবর্তী জানান, রবিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মোজাফফর আহমেদের তৃতীয় জানাজা এবং সর্বশেষ জেলার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে মরহুমের বাড়ির সামনে চতুর্থ জানাজা শেষে বাসভবনের সামনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।

শুক্রবার ৭টা ৪৯ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইন্তেকাল করেন। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী ও ১ মেয়েসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমেনা আহমেদ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে নবম ও দশম সংসদের সাংসদ।

মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ কেয়াম উদ্দিন ভূইয়া, মায়ের নাম আফজারুন্নেছা। তার পিতা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।

মোজাফফর আহমদ স্থানীয় হোসেনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক, গঙ্গামন্ডল রাজ ইনস্টিটিউশনে ও দেবিদ্বার রেয়াজউদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক এবং ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন এবং ইউনেস্কো থেকে একটি ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিজ জেলা কুমিল্লার দেবিদ্বার আসনে মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার তথা মুজিবনগর সরকার ছয় সদস্যের যে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছিল, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ সালে অধ্যাপক মোজাফফর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/এলএ)