আসামির স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’

সেই এসআই প্রত্যাহার, তবে নাম নেই মামলায়

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৯ | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৫

মাদকের মামলায় আটক স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক নারীর কাছে টাকা দাবি করে না পেয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর যশোরের শার্শা থানার এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর করা মামলায় সেই এসআই খাইরুল ইসলামের নামও নেই।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোর সদরে হাসপাতালে ওই নারীর কাছ থেকেই ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পারেন। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ওই নারীর অভিযোগ শুনে শার্শা থানার ওসিকে তদন্ত করতে বলেন। এর পর রাতে শার্শা থানায় এসআই খাইরুলের নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাতনামা একজনসহ চারজনকে আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, ভুক্তভোগী নারী শনাক্ত করতে না পারায় অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম নাম মামলায় আসেনি। এর আগে ওই নারী পুলিশের এ কর্মকর্তা ধর্ষণে জড়িত বলে দাবি করেছিলেন।

যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শার্শার গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ইসলাম ও তার সোর্স কামারুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গত মঙ্গলবার রাতেই শার্শার লক্ষণপুরের কাদের, আব্দুল লতিফ ও কামরুজ্জামান ওরফে কামারুলসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে একজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। আর ভুক্তভোগী নারীর সামনে গোড়াপাড়া ক্যাম্পের এসআই খায়রুল ইসলামকে আনা হলে তাকে চেনেন না এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত নয় বলে ওই নারী বক্তব্য দিলে মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। এছাড়া তিনি গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩০ দিনের জন্য বিআইসি প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে আলামত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যেই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত কাদের, লতিফ ও কামারুলকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাহউদ্দিন সিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার, (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ফকির আজিজুর রহমানকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করায় এবং তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করতে না পারে তার জন্য এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ওই নারীর অভিযোগ ছিল, শার্শা উপজেলার লক্ষণপুরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ২ সেপ্টেম্বর রাতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার সোর্স। টাকা না দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার মামলা দেয়ার হুমকি দেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ও কামারুল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওই নারীর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে এলে বিষয়টি সামনে আসে।

ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/ইএস/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :