রাজরোষে প্রাণ যাওয়া ১৩৪ জনের অধিকাংশই যুবরাজবিরোধী

আন্তজাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৩
অ- অ+
প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের আট মাসে ১৩৪ জনের প্রাণ সংহার করেছে সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠী। প্রাণ হারানো এসব মানুষের মধ্যে অধিকাংশই দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিরোধী ছিলেন। যুবরাজের সমালোচনা করাই কাল হয়েছে তাদের। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

‘অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি’ প্রকল্পের একটি প্রতিবেদনে সম্প্রতি এই তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। সম্প্রতি জেনেভাতে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিখ্যাত আইনবিদ ব্যারোনেস হেলেনা কেনেডি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে চলতি বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বিচার সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আরও প্রায় ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তালিকায় রয়েছে। এদের মধ্যে তিন শিশুসহ, যুবরাজের বিরোধী, ধর্মীয় পণ্ডিত ও মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন।

আর এরইমধ্যে যাদের শিরñেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে শিশু বয়সে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন ছিল। ১৮ বছর হওয়ার আগেই সৌদি রাজপরিবার বিরোধী এক বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাছাড়া চলতি বছরে তিন নারী ও ৫১ পুরুষের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সৌদি আরবে যেসব বন্দির শিরñেদ কিংবা শূলে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধী। তারা বিভিন্ন সময় সৌদি যুবরাজের সমালোচনা করেছেন। তাদের ওপর মধ্যযুগীয় নিয়মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিদের মধ্যে শিয়া মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগে ৫৮ জন বিদেশি নাগরিক, পাকিস্তানের ২১, ইয়েমেনের ১৫, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪, জর্ডানের ২, নাইজেরিয়ার ২, সোমালিয়ার ১ ও অজ্ঞাত ২ ব্যক্তি রয়েছে।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সৌদি আরব একদিনে সর্বোচ্চ ৩৭ জনের গণশিরñেদ করে, যা ওই সময় বিশে^ ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছিল। এ নিয়ে সৌদি আরবের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও যুবরাজ সালমানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি ‘পুরাই গুন্ডা’ বনে গেছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন এক আইনপ্রণেতা।

ক্রমাগত সীমা লঙ্ঘনের কারণে যুবরাজের ক্ষমতা বাদশাহ সীমিত করে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবরও আসে। তারই মধ্যে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজির অন্তর্ধান পরবর্তী তাকে হত্যার খবর চাপে ফেলে দেয় যুবরাজকে। পক্ষে বিপক্ষে নানা বাহাসের পর খাশোগজিকে যুবরাজের সিদ্ধান্তেই হত্যা করা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/আরআর/ডিএম

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আইজিপির সাথে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
পুরাতন বন্দোবস্ত পরিবর্তন ছাড়া কাঙ্খিত নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম 
১৪ দিনে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫৬২ জন গ্রেপ্তার: কর্নেল শফিকুল ইসলাম
পিলখানায় বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা