‘ক্যাসিনোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না সিদ্ধান্ত হয়নি’
বাংলাদেশে ক্যাসিনোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে এখনো উচ্চ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নীতিমালার মধ্যে এনে ক্যাসিনো চালু করা হবে নাকি একেবারেই বাদ দেওয়া হবে এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংক ও ইউনাইটেড নেশনসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের।
যুবলীগের নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অসন্তোষ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বুধবার ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রে র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনোর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপরই সেগুলো পরিচালনায় যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
ওইদিনই গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৃষকলীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। এরপর একের পর এক ক্যাসিনোতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সরকারের অনুমোদিত ক্যাসিনো জোন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তার মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না, সেটি সরকার বা দলের শীর্ষ পর্যায়ে কোথাও আলোচনা হয়নি। কাজেই এই বিষয়টি আমি জানি না।’
দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের ঘর থেকেই অভিযান শুরু করেছি। বেশ কিছু নেতা নজরদারিতে রয়েছে। অপকর্ম করলে কেউই ছাড় পাবে না।’
ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এমআর