কাজ খোঁজেন আবুল মাল আবদুল মুহিত

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:১৯| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩২
অ- অ+
আবুল মাল আবদুল মুহিত

সরকারি চাকরি থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে যে মানুষটি জীবনের সিংহভাগ সময় পার করেছেন অফুরান ব্যস্ততায়, সেই আবুল মাল আবদুল মুহিতের এখন একঘেয়ে দিন কাটছে। জীবনসায়াহ্নে এসে বেকার সময় কাটাতে ভালো লাগছে না এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের। একাকিত্ব কাটিয়ে উঠতে কাজ খুঁজছেন সাহিত্যরসিক হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগ সরকারের গত দুই মেয়াদের এই অর্থমন্ত্রী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে অবসরের ঘোষণা দেন মুহিত। নিজের নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১ (সিলেট মহানগর ও সদর) আসনটি ছেড়ে দেন ছোটভাই এ কে আবদুল মোমেনকে। বড়ভাইয়ের সেই আসনে বিজয়ী মোমেন চলতি মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।

অবসরের ঘোষণার সময় মুহিত বলেছিলেন, বাকি দিনগুলো বই পড়ে লেখালেখি করেই কাটাতে চান তিনি। একসময় যে মানুষটির সময় জুটতো না মোটেই, তার এখন সময় কাটছে নিস্তরঙ্গ। তাই সাবেক অর্থমন্ত্রী এখন একাকিত্ব কাটিয়ে উঠতে চাইছেন। কাজ খুঁজছেন তিনি। এমনটাই জানা গেছে তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপে।

মুহিতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কাজপাগল মুহিতের আগের দিন কেটেছে নানা ব্যস্ততায়। যখনই যে পদে দায়িত্ব পেয়েছেন, সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু অবসরে তিনি অনেকটাই এখন একা হয়ে পড়েছেন। সারাদিন শুয়ে, বসে কিংবা বই পড়ে সময় কাটান। নিত্য এই কাজ দিনকে দিন একঘেয়ে হয়ে আসছে। তাই তিনি চাইছেন বাইরের কোনো কাজে যুক্ত হতে।

সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে মুহিত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে স্পষ্ট কথাবার্তার জন্য গণমাধ্যমে প্রায়ই আলোচনায় আসতেন। এ বিষয়টি তাকে মন্ত্রিসভার অন্যদের চেয়ে স্বাতন্ত্র্য পরিচয় এনে দিয়েছিল। ইংরেজি সাহিত্যের অনুরাগী মুহিত ডাক পেলে ছুটে যেতেন এ ধরনের যেকোনো অনুষ্ঠানে।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এখনও যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হলে যোগ দেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত নানা সভাতেও যান মাঝেমধ্যে। মূলত তিনি কাজে ব্যস্ত থেকে মানুষের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে চান। প্রায়ই তার ঘনিষ্ঠদের মুহিত বলেন, ‘আগে অনেক কাজ করতে হতো। সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতাম। এখন কোনো কাজ নেই। একা সময় কাটাতে ভালো লাগে না।’

আবুল মাল আবদুল মুহিতের কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চাকরিতে। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ১৯৭১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মুহিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। গত শতকের একেবারে শেষ দিকে নাম লেখান রাজনীতিতে।

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করেন মুহিত। তবে প্রথমবার ভালো করতে পারেননি। হেরে যান আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কাছে। পরেরবার ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাইফুর রহমানকেই পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন। আবারও দায়িত্ব নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের। ওই মেয়াদের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে ইস্তফার ঘোষণা দেন মুহিত।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এইচএফ/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিজয়নগর সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা, বিজিবির টহল জোরদার 
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, দুপুরে গণঅনশন
সহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা